যশোর সদর উপজেলার বীরনারায়নপুর গ্রামের খাইরুল ইসলাম হত্যা মামলায় আটক স্ত্রী কুলসুম বেগম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। কুলসুমের দ্বিতীয় স্বামী আলী আকবার তাকে হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুদ্দীন হোসাইন আসামির জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। কুলসুম বেগম বাঘারপাড়ার মথুরাপুর গ্রামের মৃত লতিফ সরদারের মেয়ে।আটক কুলসুম বেগম জানান, খাইরুল ইসলামের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তিনি বুঝতে পারেন খাইরুল মানসিক ভারসাম্যহীন। তাদের সংসার একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। তার বয়স সাত বছর। খাইরুলের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে পাগলামিও বাড়তে থাকে। তিন বছর আগে খাইরুলকে রেখে ছেলে নিয়ে পিতার বাড়ি চলে যান কুলসুম। খাইরুল মাঝেমধ্যে ছেলেকে দেখতে যেতেন। এর মধ্যে কাউকে কিছু না জানিয়ে আলী আকবার নামে আরেকজনকে বিয়ে করেন কুলসুম। কিছু দিন যেতে না যেতে খাইরুল বিষয়টি জানতে পারেন। এরপর আলী আকবারের সাথে রাস্তাঘাটে দেখা হলে খাইরুল তাকে গালিগালাজ ও মারতে উদ্যত হতেন। আলী আকবার তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তাকে মারপিট করার পরিকল্পনা করতেন।গত ১৫ অক্টোবর আলী আকবারের সাথে খাজুরা বাজারে দেখা হয় খাইরুলের। খাইরুল তাকে গালিগালাজ ও মারপিট করতে যান। এ সময় আলী আকবার কৌশলে খাইরুলকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে নদীতে লাশ ফেলে দেন। বিষয়টি আলী আকবার তার স্ত্রী কুলসুমকে ফোন করে জানিয়েছিলেন বলে জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন তিনি।এদিকে মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ১৫ অক্টোবর খাইরুল ইসলাম বিকেলে বাড়ি থেকে বের হন। রাতে বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি করে তাকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয় স্বজনেরা। পরদিন বিকেলে স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে খাজুরার চিত্রা নদীতে পাওয়া যায় খাইরুলের লাশ। এ ঘটনায় নিহতের ভাই পিকুল হোসেন বাদী হয়ে অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে বাঘারপাড়া থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে নিহতের স্ত্রী কুলসুম বেগমকে আটক করেন। এরপর বেরিয়ে আসে মূল রহস্য।
রাতদিন নিউজঃ







