Saturday, December 6, 2025

মণিরামপুরে নারীকে মারপিট ও শ্লীলতাহানী

মণিরামপুরের রোহিতা ইউনিয়নের পট্টি পূর্বপাড়ায় কেয়া সুলতানা নামে এক নারীকে বেধড়ক মারপিট ও শ্লীতহানীর করেছে স্থানীয় দুর্বৃত্তরা। মারত্মক জখম ওই নারী যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কেয়া সুলতানা ওই গ্রামের ইয়ানুর ইসলামের মেয়ে। এ ঘটনায় ইয়ানুর ইসলাম বাদী হয়ে সোমবার মণিরামপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
হাসপাতালের চিকিৎসাধীন কেয়া সুলতানা জানান, এলাকার চিহ্ণিত দুর্বৃত্ত হিসেবে পরিচিত মাসুদ রানা, সোহেল রানা, বাপ্পি, সিরাজুল ইসলাম, আরিছন বিবি, লিপি বেগম, হৃদন, আনছার। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলে কথা বলতে সাহস পায় না। রোববার দুপুরে আসামিরা জোর পূর্বক কেয়া সুলতানাদের একটি মেহগনি গাছ কাটতে থাকে। বাঁধা দিতে গেলে আসামিরা কেয়া সুলতানাকে বেধড়ক মারপিট-জখম, শ্লীতহানি করে। কেয়া সুলতানার গলায় থাকা একটি সোনার চেন ও কানের দুল ছিনিয়ে নেয়। এসময় আসামিরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এমনকি কেউ বাঁধা দিতে গেলে তাদেরকে হত্যার হুমকি প্রদান করে।
এদিকে, স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, জমি নিয়ে আসামিদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জের ধরে কেয়া সুলতানাকে বেধড়ক মারপিট-জখম ও শ্লীতহানির ঘটনা ঘটেছে। এর আগেও আসামিরা মামলার বাদী ইয়ানুর ইসলামকে মারপিট করে। কেয়াকেও অপহরণের হুমকি প্রদান করে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বাররা একাধিক বার মিমাংসা করে দেয়। কিন্তু সোহেল রানা ও তার পরিবার বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি। এরই জের ধরে এই মারপিটের ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয়রা মনে করছে।
এঘটনায় কেয়া সুলতানা বাবা ইয়ানুর ইসলাম বাদী হয়ে মণিরামপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।এব্যাপারে মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের জন্য খেদাপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের আইসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
খেদাপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের আইসি সমেন কুমার বলেন, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
রাতদিন সংবাদ
আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর