Saturday, December 6, 2025

ঢাকুরিয়া কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ভূয়া শিক্ষক নিয়োগ অনিয়মের অভিযোগ

শফিয়ার রহমান, মণিরামপুর প্রতিনিধিঃ ঢাকুরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ তাপস কুন্ডুর বিরুদ্ধে ভুয়া শিক্ষক নিয়োগের কাগজ পত্র দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎসহ নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে যশোর দুর্নীতি দমন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মফিজুর রহমান। ভুক্তভোগী মফিজুর রহমান সঠিক তদন্তে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে।

সূত্রে জানাযায়, মণিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ তাপস কুন্ডুর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অধ্যক্ষ কলেজ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে সব শিক্ষক কর্মচারীদের কাছ থেকে নাটকিয় ভাবে বিভিন্ন অজুহাতে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ তাপস কুন্ডু কাউকে তক্কা না করে নিজের ইচ্ছা মতো খরচ করে চলেছে। ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক আবুল হোসেনকে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে একটি ভূয়া নিয়োগ ও যোগদান পত্র দিয়ে ৫ লক্ষ টাকা নিয়েছে। পরে তাকে সরকারী বিধিমোতাবেক নিয়োগ দিচ্ছে না আবার টাকাও ফেরৎ দিচ্ছে না বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন। মৃগংগ বিশ্বাস সমাজকর্ম প্রভাষক পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে ৫ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা নিয়ে তাকেও নিয়োগ পত্র দেয়নি এবং এমপিও কপিতে অর্ন্তভুক্তির জন্য শিক্ষা মন্ত্রণলয় কোন কাগজ পত্র পাঠায়নি।

বিমল কুমার রায় অর্থনীতি প্রভাষক পদে ২০১১ সাল থেকে কর্মরত আছেন। তার সমস্ত কাগজ পত্র থাকা সত্ত্বেও তাকে বাদ দিয়ে ইনামুলের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাকে নিয়োগ দেওয়ার পাইতারা করছে। সঞ্জিবন বিশ্বাসের কাছ থেকে ৩ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা নিয়েছে। তাকেও নিয়োগ দেয়নি আবার টাকাও ফেরৎ দেয়নি। খবিরুল ইসলাম ইতিহাসের প্রভাষক পদে ২০১৩ সাল থেকে কলেজের শিক্ষকদের নামের তালিকায় ব্যানবেইজে আছে কিন্তু তাতে এই শিক্ষকের নাম নেই।

সে দির্ঘদিন ধরে একটি সিমেন্ট কোম্পানিতে চাকরি করে বলে জানাগেছে। আবার সে কোন দিন কলেজে আসেনি। এদিকে তাকে এমপিওভুক্ত করার চেষ্টা চলছে। সুপ্রিয়া ঘোষ সমাজ কল্যানের প্রভাষক পদে ২লক্ষ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে ২০১৩ সালে নিয়োগ দিয়েছেন।

২০১৫ সালে সে চাকরী ছেড়ে চলে গেছে কিন্তু তার টাকা ফেরৎ দিচ্ছে না। আনিছুর রহমান শুকুরকে পিওয়নের চাকরী থেকেও বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ঢাকুরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ তাপস কুন্ডুর বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগের ভূয়া কাগজ পত্র দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎসহ নানা অনিয়মের কারণে যশোর দুর্নীতি দমন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মফিজুর রহমান নামের এক ভুক্তভোগী। সে সঠিক তদন্ত করে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছে।

ঢাকুরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ তাপস কুন্ডু জানান, যারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরী করে। আর তাদের পদে আমি এখনো নিয়োগ দেয়নি। তাহলে আমি কি করে তাদের টাকা ফেরৎ দিবো।

আর কে-০২

 

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর