পরান বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশের যশোরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি খুব কমবয়সে মাতৃহারা হন এবং তার বাবা তাকে ছেড়ে চলে যান। এরপর তিনি তার পিসির মাধ্যমে বড় হন। তার সাথেই দমদম কলকাতায় পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তার শৈশব অতিবাহিত করেন। সেখানে তিনি ছোট-খাটো নাটকে অভিনয় করতেন। ১৯৬২ সালে তিনি পশ্চিম বাংলার পিডব্লিউ রোডে কাজ করা শুরু করেন। আজ এই অভিনেতার ৮১ তম জন্মদিন। জীবনের এত দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েও সুস্থ-সবল প্রাণ নিয়ে বেঁচে আছেন ওপার বাংলার এ বর্ষিয়ান অভিনেতা। সবার কাছে তিনি অতি আদরের পরাণ দা। বুড়ো থেকে ছোট; সবাই তাকে এই নামেই ডাকেন। তিনিও সাড়া দেন সদা হাস্যোজ্জ্বল মুখে। স্থায়ী নিবাস এখন ওপার বাংলা হলেও তার নাড়ীর সম্পর্ক রয়েছে বাংলাদেশের যশোরের সাথে। পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশের যশোরের ছেলে। উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুসারে এ জেলায় তিনি ১৯৪০ সালের ১৮ অক্টোবর জন্মেছিলেন । সকলের মনের মনি কোঠায় স্থান করে থাকা পরাণ শতায়ু হোক জন্ম দিনে এটাই কামনা।এখনো তিনি নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন সিনেমা-নাটকে। কখনো কুটিল বৃদ্ধ, কখনো প্রতিবাদী যুবক, কখনোবা মাঝবয়সি খিটখিটে বাড়িওয়ালার চরিত্রে। শৈশবেই মা-বাবাকে হারিয়ে অনিশ্চিত জীবনের মুখোমুখি হন। পরে কলকাতার দমদমের বীরপাড়ায় তার পিসির কাছে চলে যান। সেখানেই মানুষ হন তিনি। কলেজে পড়াকালীন বিভিন্ন দলের সাথে যুক্ত থেকে গণনাট্য, নাটক, যাত্রা, থিয়েটার করার মধ্য দিয়ে অভিনয়ের জগতে প্রবেশ করেন। কাজ করার সেইসব দিনগুলো ছিলো সংগ্রামের। অভাবের সঙ্গে, নানা সংকটের ভিড়ে টিকে থাকার সঙ্গে। ক্যারিয়ারকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার সেই সংগ্রাম। সে সংগ্রামে তিনি জয়ী হয়েছেন পরিশ্রম, ধৈর্য ও সাধনায়।তিনি প্রথম বড় পর্দায় হাজির হন ২০০০ সালে দেখা নামক একটি শর্ট ফিল্ম দিয়ে। তারপর একে-একে মন্দ মেয়ের উপাখ্যান, বোম্বাইয়ের বোম্বেটে, হচ্ছেটা কি, টিনটোরেটোর যিশু, দ্য জাপানিজ ওয়াইফ, গোঁসাইবাগানের ভুত, রয়্যাল বেঙ্গল রহস্য, বিন্দাস প্রেম, প্রলয়, চলো পটল তুলি, ভুতের ভবিষ্যৎ, যেখানে ভুতের ভয়, কিডন্যাপার, বাদশাহী আংটি-র মতো বহু বিখ্যাত ছবিতে সাবলীল অভিনয় দিয়ে দর্শক মাতিয়েছেন।
রাতদিন নিউজঃ







