ঝিনাইদহের শৈলকূপায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাবেক শিক্ষার্থী উলফাত আরা তিন্নির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃত জামিরুল তিন্নির বড় বোন মিন্নির প্রাক্তন স্বামী।আজ ৭ অক্টোবর, বুধবার সকালে শৈলকূপা থানা পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।এদিকে গতকাল ৬ অক্টোবর, মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তিন্নিকে ধর্ষণের আলামত মেলেনি বলে জানান কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরএমও ডা. তাপস কুমার সরকার।এ ঘটনাকে আত্মহত্যা হিসেবে উল্লেখ করে তিনি জানান, চিকিৎসকরা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট থানায় হস্তান্তর করেছেন।গত ১ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শৈলকুপার শেখপাড়া বাজারের বাসিন্দা প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আলীর মেয়ে তিন্নির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।পরিবারের দাবি, ওই রাতে তাদের বাসায় হামলা চালান তিন্নির বোন মিন্নির সাবেক স্বামী জামিরুল শেখ ও তার লোকজন। তারা দুই দফায় বাড়িতে হামলা-ভাংচুর চালায় ও তিন্নির ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। পরে রাত ১২টার দিকে শোয়ার ঘর থেকে সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় তিন্নির মরদেহ উদ্ধার করেন প্রতিবেশীরা।পরিবারের দাবি, তিন্নি ধর্ষণের শিকার হয়ে লজ্জা ও ক্ষোভে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।পরদিন তিন্নির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আটজনকে আসামি করে শৈলকূপা থানায় মামলা দায়ের করেন।ওইদিন রাতেই অভিযান চালিয়ে মামলার চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরা হলেন—তিন্নির সাবেক ভগ্নিপতি জামিরুল ইসলামের বড়ভাই আমিরুল ইসলাম (৫০), সেজভাই নজরুল ইসলাম (৪৫), মামা শেখ খলিলুর রহমানের ছেলে শেখ লাবিদ (২৫) ও শেখ তন্ময় (২৬)।
অনলাইন ডেস্ক







