যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা টেস্টের নমুনা দিতে আসা মানুষের দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। নমুনা সংগ্রহের স্থানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বসার কোনো ব্যবস্থা নেই। কোনো ছাউনির ব্যবস্থা নেই। এর ফলে রোদ-বৃষ্টিসহ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষার যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতা থাকলেও সরকারি বরাদ্দ না থাকায় নমুনা দিতে আসাদের নিরাপদ অপেক্ষালয় তৈরি করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার দিলীপ কুমার রায়।করোনা টেস্টের জন্যে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হাসপাতালের ‘ফ্লু‘ কর্ণারে লাইনে দাঁড়াতে হয়। সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সরকার নির্ধারিত ফিস জমা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হওয়ার পর অপেক্ষা নমুনা দেয়ার জন্যে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নমুনা নেয়ার কাজ শুরু হয়। নমুনা সংগ্রহের কাজ শেষ করতে পার হয়ে যায় দুপুর দু’টো। একটানা ৫ থেকে ৬ ঘন্টা দীর্ঘ অপেক্ষার কারণে মানুষের ভিড় জমে যায় সেখানে। এতে মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অনেকে চরম অসুস্থ হয়ে পড়েন। শারিরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্যে কোনো তদারকি না থাকায় সুস্থ মানুষও করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকির মধ্যে পড়ছেন।এ বিষয়ে হাসপাতালে নমুনা দিতে আসা একাধিক মানুষের সাথে কথা বললে, তারা বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সু দৃষ্টি কামনা করেন।হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার দিলীপ কুমার রায় জানান, সরকারি ছুটি ব্যতিত প্রতিদিনই ৭০-৮০ জন ফ্লু-কর্ণারে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার পর আইসোলেশন ওয়ার্ডের পূর্ব দিকে নির্ধারিত স্থানে গিয়ে নমুনা দিচ্ছেন। নানা সংকট ও সীমাবদ্ধতার মধ্যেও করোনা টেস্টের জন্যে নমুনা সংগ্রহের কাজ অব্যাহত রাখা হয়েছে। ডাক্তার দিলীপ আরও জানান, হাসপাতাল অভ্যন্তরে খোলা কোনো জায়গা নেই। দক্ষ জনবলের চরম সংকট রয়েছে। নমুনা প্রদানকারীদের ফরম পূরণ করতে সতর্ক থাকতে হয়। যাতে ফরমের সাথে নমুনার কোনো গরমিল না হয়। এতে অনেক সময় লেগে যায়। ফলে নমুনা দিতে আসাদের অপেক্ষার পালা দীর্ঘ হয়। ইচ্ছা থাকলেও নমুনা দিতে আসাদের জন্যে নিরাপদ অপেক্ষালয়ের ব্যবস্থা করা যায়নি। এক্ষেত্রে সরকারি বরাদ্দ না পাওয়াটাই মূল কারণ।
রাতদিন সংবাদ







