Saturday, December 6, 2025

মালয়েশিয়ায় থেকে দশ বছর পর এসেছে মণিরামপুরের শরিফুলের মরদেহ

মণিরামপুর প্রতিনিধিঃ টানা ১০ বছর মালয়েশিয়ায় প্রবাস জীবনের পর শরিফুল ইসলাম (২৭) এবার বাড়িতে আসতে চাইছিল। কিন্তু তার আর বাড়ি ফেরা হলো না। ফিরেছে কফিনে শরিফুলের মরদেহ। ৬ মাসের শিশু পুত্র সাকিবুল ইসলামসহ মা-বাবা আর স্ত্রীকে রেখে ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে মালয়েশিয়া পাড়ি জমান শরিফুল ইসলাম। থাকতেন মালয়েশিয়ার পিনাং শহরে। ওই শহরে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হন তিনি।

শরিফুল ইসলাম যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। তিন ভাই আর দুই বোনের মধ্যে মেঝ শরিফুল ইসলাম। নিহত হওয়ার ২১ দিন পর শরিফুলের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌছুলে স্বজনদের গগণ বিদারি আহাজারিতে পরিবেশ ভারি হয়ে উঠে। প্রতিবেশিদের কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি।

শরিফুলের বাবা আব্দুস সাত্তার বলেন, তার ছেলে বছর দশেক আগে মালয়েশিয়া পাড়ি জমান। পিনাং শহরে থাকতো শরিফুল ইসলাম। গত ১৯ নভেবম্বর শহরের মোটরসোইকেল ও প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হয় শরিফুল। নানা দেন দরবার করে ২১ দিন পর ছেলের মরদেহ বাড়িতে আনা হয়।

শরিফুল ইসলামের স্ত্রী শম্পা খাতুন কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ১২ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর একমাত্র সন্তান সাকিবুল ইসলামের জন্ম হয়। সাকিবুল ইসলামের বয়স ৬ মাস হলে সংসারের স্বচ্ছলতা আনতে মালয়েশিয়া পাড়ি জমায় স্বামী শরিফুল। এরপর সে আর কখনো বাড়ি আসেনি। ছেলে সাকিববুল এখন তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ছে। এবার তার স্বামী বাড়ি ফিরবে বলে তাকে একাধিকবার মোবাইলে জানিয়েছিল। কিন্তু তার বাড়ি ফেরা হলো না। বাড়ি ফিরেছে শলিফুলের মরদেহ। তিনি তার স্বামীর আত্মার মাগফেরাত কামনায় এবং ছেলের ভবিষ্যতের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।

এদিকে শরিফুলের মরদেহ বাড়িতে পৌছানোর পর শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর