কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধিঃ কেশবপুরে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদের নেতৃবৃন্দরা চাকুরীর বৈষম্য থেকে মুক্তি পেতে ৫ দফা দাবিতে স্মারক লিপি স্থানীয় সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ স্মারকলিপি প্রদান করেছে। বুধবার উপজেলা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদের সভাপতি স্বপন কুমার মল্লিক ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত ওই স্মারকলিপির ৫ দফা দাবিতে উল্লেখ করা হয়- তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের নূন্যতম বেতন গ্রেড-১১তম প্রদান করতে হবে এবং শিক্ষার্থী সংখ্যার অনুপাতে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। পদের নাম পরিবর্তন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা/অফিস সুপার প্রদান করতে হবে এবং পেশাগত উন্নয়নে কম্পিউটারসহ অন্যান্য বিষয়ে উচ্চতর ট্রেনিং এর দ্রæত ব্যবস্থা নিতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রণীত চাকুরীবিধি-২০১২ দ্রæত বাস্তবায়ন ও প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ম্যানেজিং কমিটি/গভণিং বডিতে কর্মচারীদের একজন সদস্য রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে দ্রুত উচ্চতর পদে পদোন্নতির ব্যবস্থা করতে হবে। সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করতে হবে।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদের সভাপতি স্বপন কুমার মল্লিক বলেন, বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা) অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে সারাদেশে প্রায় ৫০ হাজার তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী জাতি গঠনে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তবে চরম বৈষম্যের মধ্যে আমাদের মানবেতর দিনাতিপাত করতে হয়। চাকুরীতে যোগদান থেকে অবসর গ্রহণ পযন্ত আমাদের বেতনের কোন পরিবর্তন হয়নি। চাকুরী জীবনে আমাদের নেই কোনো পদোন্নতি। চাকুরী বিধিমালা-২০১২ অনুসরণ না করার কারণে আমাদের নেই কোন কর্মঘন্টা, নেই কোন ওভার টাইম ভাতা। এছাড়া পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কম্পিউটারসহ বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চতর ট্রেনিং এর কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। আমরা ৫০ হাজার তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী বৈষম্য থেকে মুক্তি চাই।
কেশবপুরে নানা দাবিতে তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারীদের স্মারকলিপি প্র্রদান







