নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় রেলওয়ের উন্নয়ন কাজ তদারকি করতে চান রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্যরা। এ জন্য নির্বাচনী এলাকায় রেলওয়ের উন্নয়ন কাজের তথ্য চেয়েছেন তারা। মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।কার্যপত্রে উল্লেখ করা হয়, আগের বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা নির্বাচনী এলাকার রেলওয়ের উন্নয়ন কাজের তদারকি করবেন বলে সুপারিশ করা হয়। সুপারিশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি হিসেবে মঙ্গলবারের (২৪ আগস্ট) বৈঠকে মন্ত্রণায়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নির্বাচনী এলাকায় রেলওয়ের উন্নয়ন কাজের বিষয়ে তথ্যাদি স্থায়ী কমিটির সদস্যদের কাছে সরবরাহ করা হবে। সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালকরা সংসদ সদস্যদের তদারকি কাজে সহযোগিতা করবেন বলেও মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়। কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, দেশে করোনা প্রাদুর্ভাবের পর রেলপথ মন্ত্রণালয়ের নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড থেমে গিয়েছিল। উন্নয়নকাজ যাতে মানসম্মত হয় সেটা নিশ্চিত করতে বলেছি। আগের বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে কমিটির সভাপতি নিজেই এ প্রসঙ্গটি উপস্থাপন করেছিলেন। ওই বৈঠকে তিনি বলেন, স্থায়ী কমিটির সদস্যরা রেলওয়ের উন্নয়নে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের নির্বাচনী এলাকার লোকজন যাতে ভবিষ্যতেও জনপ্রতিনিধিদের কীর্তি স্মরণ রাখে এ জন্য নির্বাচনী এলাকার স্টেশনগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আধুনিকায়নের নির্দেশনা দেওয়া দরকার। এ সময় তিনি ৮০র দশকে নির্মিত চট্টগ্রাম রেলস্টেশনটি জরাজীর্ণ রয়েছে উল্লেখ করে উষ্মা প্রকাশ করেন। কমিটির সদস্য সাইফুজ্জামান চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ স্টুডেন্টভিত্তিক স্টেশনগুলোর প্লাটফর্ম উঁচু করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, চট্টগ্রাম স্টেশনটি অত্যন্ত নিম্নমানের মনে হয়। বাস স্টেশনও এর চেয়ে ভালো। রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে ৭ হাজার ৬৪৮ টন স্ক্র্যাপ মজুত রয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৯৬৫ টন স্ক্র্যাপ বিক্রির দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ৫ হাজার ৬৮৩ টন বিক্রির দরপত্র আহ্বানের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া ৩৮৭টি খালি ড্রাম বিক্রির ১ লাখ ৫৫ হাজার ৫৯৪ টাকা জমা দানের অপেক্ষায় আছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে স্ক্র্যাপ মালামাল বিক্রি করে পূর্বাঞ্চল ৩৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা এবং পশ্চিমাঞ্চল ১২ কোটি ২৯ লাখ ৭৩ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে বলে বৈঠকে জানানো হয়। অপরদিকে রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলে ৫ হাজার ৮৭৪ টন স্ক্র্যাপ মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ৩৪৩ টন স্ক্র্যাপ বিক্রির দরপত্র খোলার অপেক্ষায় রয়েছে। ১ হাজার ৮১৪ টন বিক্রির দরপত্র আহ্বানের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া ৩৮৭টি খালি ড্রাম বিক্রির ১ লাখ ৫৫ হাজার ৫৯৪ টাকা জমাদানের অপেক্ষায় আছে। এছাড়া ৭১৭ টন স্ক্র্যাপ বিক্রির অর্থ জমাদানের অপেক্ষায় আছে।
অনলাইন ডেস্ক







