Saturday, December 6, 2025

চৌগাছার এক আ’লীগ নেত্রীর অশালীন ভিডিও ভাইরাল

যশোরের চৌগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও মহিলা নেত্রীর অশালীন ভিডিও কল রেকর্ডিং নিয়ে ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার হয়। দায়িত্বশীল নেত্রী হিসাবে তার এমন ভিডিও প্রচারিত হওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে নানা আলোচনা।বুধবার রাতের কোন এক সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রচারিত হয়। তবে ফেসবুকের কোন আইডি থেকে প্রথম এটি প্রচারিত হয়েছে তা জানা যায়নি। ভিডিওটি গত রাত ও দিনের মধ্যে ব্যাপকাবে ভাইরাল হয়ে পড়ে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, তিনি এক ব্যক্তির সাথে কথা বলছেন। উভয়ের মধ্যে রসাত্মকভাবে ব্যক্তিগত আলাপ আলোচনা চলতে দেখা গেছে। তবে ওই নেত্রীর কথা স্পষ্টতই বোঝা যায়নি। ভিডিও কল রেকর্ডিং নিয়ে গতকাল উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নেতা জানান, আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল পদে থেকে তার এমন কর্মকান্ড মেনে নেয়ার মত না। এটা দলের জন্য খুবই ক্ষতিকর। অপর এক নেতা জানান, সাধারণ পরিবারে তার বিয়ে হয়। কিন্তু হঠাৎ করে ৪/৫ বছরের মধ্যে তিনি বিলাসী জীবন যাপন করতে শুরু করেন।স্থানীয় কতিপয় নেতার মদদে তিনি বনে যান আওয়ামী লীগের নেত্রী। তারই সূত্র ধরে তিনি উপজেলার একটি ইউনিয়নে বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে অংশগ্রহণ করেন।  কিন্তু বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ওই নেত্রীর গোপালগঞ্জ জেলায় প্রভাবশালী আত্মীয় আছে বলে তিনি প্রচার করেন। তার জন্মই ওই জেলায় বলে অনেকে জানিয়েছেন। সূত্র আরো জানিয়েছে, নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের গৃহবধূ হিসাবে তার চলাফেরা উচ্চবিত্তদের মতো। তিনি ঢাকাতে বিমানে ছাড়া যাতায়াত করেন না। এছাড়া ঢাকাতে গিয়ে বিভিন্ন নামী দামী রেস্টুরেন্টে ওঠেন। ঢাকায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়ে স্থানীয় যুবক থেকে শুরু করে উপজেলার সর্ব শ্রেণীর মানুষের কাছ নিজেকে বড় মাপের নেত্রী হিসাবে বার্তা দেন। স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন নেতা কর্মী জানান, সিঙ্গাপুর ফেরত এক যুবকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়েছেন তিনি। এছাড়া চাকরি, রাজনৈতিক পদ পদবি দেবার নামে নানা তদবিরে তিনি ব্যস্ত থাকেন বলেও প্রচার রয়েছে।এ দিকে ভাইরাল হওয়া ভিডিও রেকর্ডিং নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী মাসুদ চৌধুরীর কাছে একাধিকবার ফোন করলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। ফলে দলীয় সিদ্ধান্ত ও এই ভাইরাল ভিডিও রেকর্ড নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানা সম্ভব হয়নি। তবে নাম প্রকাশে  অনিচ্ছুক দলীয় এক নেতা জানান, রাজনৈতিক ও ব্যক্তিজীবন দুটি ভিন্ন বিষয়। তবে দায়িত্বে থাকলে ব্যক্তি জীবনের কিছু বিষয় সব সময় সতর্ক থাকা দরকার। তা না হলে এর প্রভাবটি দলের মধ্যে পড়ে। এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির ওই সদস্যের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভাই আমার ফেসবুক আইডি হ্যাক করা হয়েছে। ষড়যন্ত্রকারীরা আমার সম্মান নষ্ট করতে এটা করেছে। এছাড়া আমার আর কোন মন্তব্য নেই।

সূত্রঃ গ্রামের কাগজ

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর