Friday, December 5, 2025

কেশবপুরে মৎস্য ঘেরের সেচের পানিতে দু’গ্রামের মানুষ পানি বন্দি

মোঃজাকির হোসেন,কেশবপুরঃ কেশবপুর উপজেলার বাগডাঙ্গা ও মনোহরনগর গ্রাম এলাকার মৎস্য ঘেরের পানি সেচ দিয়ে এলাকার দু‘ গ্রামের তিন শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে । ক্ষতিগ্রস্থরা জানান বাগডাঙ্গা ও মনোহরনগর গ্রামের মানুষের বাড়ি, ঘর ও উঠান প্লাবিত হয়ে চলাচলে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। অনেকের বাড়িতে যাতায়াতের জন্যে বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করা হচ্ছে। আবার কেউ দূর থেকে মাটি এনে তাদের উঠান সহ যাতায়াতের রাস্তা উঁচু করার চেষ্টা করছেন।অনেক বাড়িতে রান্নার স্থান ও প্লাবিত হয়ে যাওয়ায় রান্না করা অসম্বব হয়ে পড়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ,কেশবপুর ও মণিরামপুর উপজেলা সীমান্তের শ্রীফলা বিল ও বয়ার খোলা বিলের ছোট বড় প্রায় অর্ধশত ঘেরের মালিকদের মধ্যে লাভলু ও দীনমোহাম্মদ খিরুসহ অনেকেই রয়েছেন ।তারা পানি সেচ দিয়ে মনোহরনগর-বাগডাঙ্গা খালে ফেলাচ্ছে। খালে পানি ধারন করতে না পেরে ওই পানি বৃদ্ধি পেয়ে গ্রামের মানুষের বাড়ি ঘরে ঢুকে পড়ছে। এঅবস্থা চলছে প্রায় ১৫দিন। ঘেরের পানি অপসারণে সেচ কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য বলা হলেও ঘের মালিকরা কারও কথায় গুরুত্ব¡ দিচ্ছেন না, বরং তাদের কে নানা ভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে ভুক্ত ভোগীদের অভিযোগ। পানিবন্ধী ছন্দা রানী মন্ডল জানান,কয়েকজন প্রভাশালী ঘের মালিকের কারনে প্রতি বছর আমাদের অসময়ে এ ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এ অবস্থায় আর কতকাল থাকতে হবে কে জানে। ইউপি সদস্য বৈদ্যনাথ সরকার বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে শ্রীফলা বিল ও বয়ার খোলা বিলের ঘেরের পানি সেচ কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে মাইকে প্রচার করা হলেও সেচ বন্ধ হয়নি। সেচের পানি বাগডাঙ্গা-মনোহরনগর খালে ফেলার কারনে পানি বৃদ্ধি পেয়ে গত ১৫ দিন ধরে গ্রামের মানুষের বাড়িঘরে ঢুকে পড়ছে। প্রতদিন নূতন-নূতন বাড়ি ঘর প্লাবিত হচ্ছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পানিবন্দি মানুষের খোঁজ খবর নিতে শুরু করেছেন কেশবপুরের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরা। এ ব্যাপারে পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুল সাংবাদিকদের জানান ১৪জানুয়ারী দুপুরে মণিরামপুর উপজেলার দুর্বাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে ঘের মালিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করা হয়। সভায় ঘেরের পানি সেচ কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। বিষয়টি জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমএম আরাফাত হোসেন সাংবাদিকদের জানান আমি বিষটি শুনেছি। জনগনের ক্ষতি করে কোন কিছু করা যাবেনা। আমি বিষয়টি সিরিয়াসলি দেখছি বলে তিনি জানান।

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর