যশোর শহরতলী মুড়লী বকচর এলাকার একটি ওয়ার্কশপের বাস নিয়ে এসে লোহার মালামাল চুরির ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে একজন ক্রেতা ও অন্যজন বিক্রেতা। এই ঘটনায় বমুড়লী এলাকার শাহীন ওয়েল্ডিং ওয়ার্কসপের ম্যানেজার সিরাজুল ইসলাম তিন জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন।
আটকৃতরা হলেন, পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার চরবাসুড়ি গ্রামের ক্ষিতীশ চন্দ্র ঢালির ছেলে সুমন এবং যশোরের মোড়লী খাঁ’পাড়ার মৃত সোহরাব মল্লিকের ছেলে আব্দুর রহিম । পলাতক আসামি চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার মোবারক পাড়া এলাকার আশা । সে বর্তমানে ঢাকার একটি বাসে হেলপারি করেন। ওই বাস নিয়ে তারা চুরি করতে এসেছিলেন যশোরে।
ম্যানেজার সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, তার ওয়ার্কশপের সামনে ওই বাসটি রাখা হয়। তিনি ওয়ার্কশপে গাড়ির বডি তৈরি করার জন্য ৪৯ হাজার টাকা মূল্যের লোহার মালামাল কিনে রেখে দেন। গত ২০ নভেম্বর রাত দশটার দিকে ওয়ার্কশপ তালা মেরে নৈশ্য প্রহরীকে বলে তিনি বাড়ি চলে যান। ওয়ার্কশপের অন্য কর্মচারীরাও চলে যায়। পরের দিন ওয়ার্কশপে এসে দেখেন ওয়ার্কশপের মধ্যে রাখা ওই লোহার মালামাল নেই। তিনি ঘটনাটি ওয়ার্কশপের মালিককে জানিয়ে আশেপাশে খোঁজ খবর নেন। পরে দেখেন ওয়ার্কশপের পাশে ব্যবসায়ী রহিমের দোকানে ওই মালামাল রয়েছে। তিনি রহিমকে জিজ্ঞাসা করলে জানায়, ওই বাসের হেলপার আশা খাঁ ও সুমন নামে এক যুবক তার কাছে কিছু মালামাল বিক্রি করেছে। বাকি মালামাল নিয়ে তারা চলে গেছেন। পরে পুলিশ ওই দোকানে গিয়ে ভাংড়ি ব্যবসায়ী রহিম ও সুমনকে আটক করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই আশরাফুল আলম জানিয়েছেন, এ মামলায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে আর হেলপার আশা খাঁকে আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।







