Friday, December 5, 2025

যশোরে মাদ্রাসায় অবৈধ নিয়োগ ! স্থানীয়দের তোপের মুখে নিয়োগ প্রক্রিয়া ভেস্তে

যশোর সদর উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নের দলেনগর আদবিয়া দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসায় অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়া ভেস্তে দিয়েছেন স্থানীয় জনতা। অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানের সুপার আবুল খায়ের এবং সভাপতি এনামুল হক চুন্নু অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে অনিয়ম ও আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে নিয়োগ দিতে উদ্যোগ নেন। শুক্রবার প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়োগ বোর্ড বসানো হলেও স্থানীয়দের তীব্র প্রতিবাদে সেটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, নিয়োগের নামে একজন প্রার্থীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা অগ্রিম নিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট দুই দায়িত্বশীল।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি তড়িঘড়ি করে শিক্ষক প্রতিনিধি ও অভিভাবক সদস্যদের দিয়ে ১১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ। এরপর সুপার আবুল খায়ের কৌশলে সহকারী সুপার ফিরোজ আলমকে মৌখিকভাবে বহিষ্কার করেন। কমিটি গঠনের মাত্র তিন দিনের মাথায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এসব বিষয়ে যেমন জানতেন না সহকারী সুপার, তেমনি কিছুই জানানো হয়নি বিদ্যোৎসাহী সদস্য জুলফিকার আলী ফক্কারকে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সুপার ও সভাপতি আগেই তাদের মনোনীত একজন প্রার্থীর নাম ঠিক করে রেখেছিলেন। পরে লোক দেখানো নিয়োগ বোর্ড বসানো হয়। বিষয়টি জানতে পেরে সকালে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তারা একত্রিত হয়ে মাদ্রাসা ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় সভাপতি ও সুপার পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও জনতার তোপের মুখে পড়েন এবং এক পর্যায়ে অবরুদ্ধ হন। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। অন্যদিকে ঢাকায় থেকে আসা নিয়োগ বোর্ডের সদস্য নিয়োগ বাতিল ঘোষণা করে মাদ্রাসা ত্যাগ করেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদ্রাসার সভাপতি এনামুল হক চুন্নু নিজে ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির নিকট আত্মীয়তার সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে নিয়োগ বাণিজ্যে লিপ্ত ছিলেন। তার প্রভাব খাটিয়ে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা চালান।

এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের সুপার আবুল খায়ের বলেন, সব ধরনের নিয়ম মেনেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। আজ ঢাকা মাদ্রাসা অধিদপ্তর থেকে একজন সহকারী পরিচালক এসেছিলেন নিয়োগ সম্পন্নের জন্য। এমন সময় স্থানীয় কয়েকজন এসে বাধা দেন। তারা দাবি করেন, তাদের পছন্দের লোক নিতে হবে। শেষ পর্যন্ত নিয়োগ স্থগিত করা হয়েছে। তিনি নিজের বিরুদ্ধে ওঠা কোনো অভিযোগ অস্বীকার করেন।

অন্যদিকে সভাপতি এনামুল হক চুন্নু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একজনকে ওই পদে নিতে একটি পক্ষ চাপ দিচ্ছিল। না নেওয়ায় তারা নিয়োগ বাধাগ্রস্ত করেছে। টাকা-পয়সা লেনদেনের অভিযোগও ভিত্তিহীন।

ওয়াসি সাদিক

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর