যশোরে নয় মামলার আসামি কোরবান আলীর নামে এক যুবক গণপিটুনির শিকার হয়েছে । স্থানীয়রা তার কাছ থেকে একটি অস্ত্র এবং এক রাউন্ড গুলিও উদ্ধার করেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। কোরবান আলী শহরতলীর শেখাটি এলাকার বাবুর বাড়ির ভাড়াটিয়া মুজিবর রহমানের ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (২৬ নভেম্বর) রাত পৌনে নয়টার দিকে শহরের খালধার রোডের আমিনিয়া আলিয়া মাদ্রাসার মধ্যে।
কোতোয়ালি থানা পুলিশ জানিয়েছে, রাত নয়টার দিকে থেকে সংবাদ পাওয়া যায় যে স্থানীয় লোকজন অস্ত্রসহ এক যুবককে আটক করে গণপিটুনি দিয়েছে। পুলিশ সেখানে গিয়ে অস্ত্র ও গুলি সহ কোরবান আলীকে আটক করে এবং যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
কোতোয়ালি থানার এসআই মোফাজ্জল হোসেন জানিয়েছেন, সংবাদ পেয়ে তিনি সেখানে যান এবং কোরবান কে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক জুবায়ের আহমেদ বলেছেন, কোরবান আলীর দুই পায়ে প্রচন্ড আঘাত পেয়েছে । তার বামপা ভেঙে যেতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন।
এদিকে, কোরবান আলী জানিয়েছেন ভিন্ন কথা , তিনি জানান ভাংড়ি মালের ব্যবসা করেন। শেখহাটি হাইকোর্ট মোড়ে তার একটি দোকান আছে। তার পাশের দোকানদার তুহিনের সাথে তার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। তুহিনের সহযোগী রিয়াদ তাকে ডেকে আমিনিয়া আলিয়া মাদ্রাসার ভেতরে নিয়ে যায়। মাদ্রাসার গেট দিয়ে ঢুকতেই ৮/১০ জন তার ওপর চড়াও হয়। বাসের লাঠি লোহার রড দিয়ে তাকে বেধড়ক মারপিট করে। অস্ত্র-গুলি কোথা থেকে এলো তা তিনি জানেন না।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাত বলেন, ৯৯৯ কল পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে যান। স্থানীয়রা অস্ত্রসহ কোরবান আলীকে হস্তান্তর করে। আহত হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। তিনি আরও জানান, পরে জানা যায় কোরবানের বিরুদ্ধে পাঁচটি মাদক মামলাসহ নয়টি মামলা রয়েছে। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
বিশেষ প্রতিনিধি







