Friday, December 5, 2025

যবিপ্রবির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, মূল ফটকে রাতভর পুলিশের অবস্থান

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। যবিপ্রবির সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার আমবটতলা মোড়ে যশোর–চৌগাছা সড়কে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর প্রায় এক ঘণ্টা ধরে থেমে থেমে চলে দু’পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ,শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা জানায় , সন্ধ্যায় যবিপ্রবির এক নারী শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের সামনে আমবটতলা মোড়ে একটি মোবাইলের দোকানে গেলে দোকানদার তাকে উত্ত্যক্ত করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা দোকানদারকে মারধর করেন। পরে মোড়ের অন্যান্য দোকানদার উত্তেজিত হয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।  দুই পক্ষই সড়কে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে অন্তত পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হয়।

এদিকে, ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরে এসে মূল ফটকের সামনে সড়কে টায়ার ও বেঞ্চে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে যশোর–চৌগাছা সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। পরে ফাঁড়ি ও থানা পুলিশসহ যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে।

যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মজিদ বলেন, গুরুতর কেউ আছে কি না, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগিতা নিতে হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। প্রধান ফটকসহ আশপাশের এলাকায় পুলিশ পাহারায় রয়েছে।

অন্যদিকে, অভিযুক্ত দোকানদারের দাবি, ওই নারী সোমবার তার দোকানে একটি ব্যাটারি নিয়ে এসেছিলেন। পরে দোকানের টুলস নিয়ে ব্যাটারিটি কাটতে গেলে তার হাতে আঘাত লাগে। তিনি বলেন, আপনার বয়ফেন্ড কিংবা বন্ধু থাকলে তাদের ওষুধ আনতে বলেন। পরে মেয়ে চলে যান। পরের দিন সন্ধায় এসে দোকানে হামলা চালায়।  ঘটনাটি ইভটিজিং নয় বলে দাবি করেন তিনি।

বিশেষ প্রতিনিধি

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর