কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য এবং বর্ষীয়ান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব অ্যাডভোকেট বদরুজ্জামান মিন্টু এখনও বেঁচে আছেন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে তার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। তিনি ভারতের দিল্লি রাজ্যের মেডান্তা হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। মিন্টুর ভাইপো সাজ্জাদ মিল্টন শনিবার রাত নয়টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে মৌখিকভাবে মৃত ঘোষণা করেছে বলে দাবি করেন মিন্টুর শ্যালক শরিফ খান। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোকের ছায়া নেমে আসে এবং অনেকে শোকবার্তাও দেন। মিন্টুর ভাইপো সাজ্জাদ মিল্টন জানান, ভারত থেকে মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। এমনকি ভারত থেকে মরদেহ ঢাকায় আনার ব্যবস্থাও করা হয়। পরিবারের সদস্যরা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনাও দেন। নিকট আত্মীয়রা জানান, মিন্টুর মরদেহ যশোরে আনা, এমনকি কোথায় দাফন করা হবে, সেটিও ঠিক করা হয়েছিল। প্রথমে খবর আসে, আইসিইউতে থাকা অবস্থায় মিন্টুর শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গেছে। এমনকি যন্ত্রের সাহায্যেও তিনি শ্বাস নিতে পারছিলেন না। ব্রেন থেকে শুরু করে শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিস্তেজ হয়ে যায়। ডাক্তাররা তাকে মৌখিকভাবে মৃত ঘোষণা করেন এবং পরিবারের সদস্যদের লাশ হস্তান্তরের প্রস্তুতি নিতে বলেন। একই সঙ্গে জানানো হয়, কয়েক ঘণ্টা আইসিইউতে রাখার পর ছাড়পত্র দেওয়া হবে। তবে কিছু সময় পর ডাক্তাররা জানান, মিন্টু আবারও যন্ত্রের সাহায্যে শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছেন। এই সংবাদ পাওয়ার পরই পরিবার দেশে খবর পাঠায় যে মিন্টু বেঁচে আছেন। সর্বশেষ শনিবার রাত সাড়ে নয়টায় জানতে চাইলে মিন্টুর ভাইপো সাজ্জাদ মিল্টন বলেন, কিছুক্ষণ আগে আইসিইউতে গিয়ে মিন্টুর স্ত্রী তাকে দেখেছেন। তার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। ডাক্তার জানিয়েছেন— যেকোনো সময় দুঃসংবাদ আসতে পারে। উল্লেখ্য, কেশবপুর পৌরসভার বালিয়াডাঙ্গা এলাকার সন্তান অ্যাডভোকেট মিন্টু প্রয়াত মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের আপন ভাগনে। কেশবপুর বিএনপির রাজনীতিতে তার অবদান ছিল অপরিসীম। তিনি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে একাধিকবার দায়িত্ব পালন করেছেন। তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করা হচ্ছে।
রাতদিন সংবাদ







