যশোরের মনিরামপুর উপজেলার লাউড়ী গ্রামের বিএনপি কর্মী আনিচুর রহমান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আরাধন ঘোষ ওরফে বাসুদেব ঘোষকে (৫০) আটক করেছে পুলিশ। রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কাশিপুর কাঁঠালতলা বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি উত্তর লাউড়ী গ্রামের নীরাপদ ঘোষের ছেলে।
পুলিশ সূত্র জানায়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মনিরামপুর থানার এসআই ওবায়দুর রহমান সোমবার আটককৃত আরাধন ঘোষ ওরফে বাসুদেব ঘোষকে যশোর আদালতে হাজির করেন। শুনানি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, হত্যাকাণ্ডের আট বছর পর ২০২৪ সালের ২২ আগস্ট নিহত আনিচুর রহমানের ভাই মফিজুর রহমান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, মনিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান, থানার তৎকালীন ওসি বিপ্লব কুমার নাথসহ মোট ৬০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে পরবর্তীতে মামলাটি থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। আটক আরাধন ঘোষ ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের একজন।
মামলার এজাহারে মফিজুর রহমান উল্লেখ করেন, আনিচুর রহমান বিএনপির সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই রাজনৈতিক অবস্থানকে কেন্দ্র করে তার সঙ্গে স্থানীয় এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতাদের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, এই বিরোধকে কেন্দ্র করেই ২০১৬ সালের ২ নভেম্বর ভোরে ৬০–৭০ জনের একটি দল তার বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তৎকালীন এমপি স্বপন ভট্টাচার্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কাজী মাহমুদুল হাসানের নির্দেশে আনিচুর রহমানকে কুপিয়ে আহত করা হয় এবং পায়ে গুলি করা হয়। পরে তৎকালীন ওসিকে ডেকে এনে গুরুতর আহত আনিচুরকে গাড়িতে তুলে নেওয়া হয়। পরদিন যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে তার লাশ পাওয়া যায়।
মণিরামপুর প্রতিনিধি







