Friday, December 5, 2025

লিবিয়ার উপকূলে ২৬ বাংলাদেশি নিয়ে নৌকা ডুবি, চারজনের মৃত্যু

উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার উপকূলে ২৬ বাংলাদেশিকে নিয়ে একটি নৌকা ডুবে গেছে। এতে চার বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। একই উপকূলে পৃথক আরেক ঘটনায় অর্ধশতাধিক সুদানি নাগরিককে বহনকারী আরেকটি নৌকাও ডুবে যায়, তবে সেখানে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

রোববার (১৬ নভেম্বর) টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, উত্তর-পশ্চিম লিবিয়ার আল-খোমস উপকূলে প্রায় ১০০ জনকে বহনকারী দুটি অভিবাসী নৌকা ডুবে যায়। লিবিয়ান রেড ক্রিসেন্ট জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে আল-খোমসের তীরের কাছে উল্টে যাওয়া নৌকাদ্বয়ের খবর পেয়ে তারা উদ্ধার কাজে অংশ নেয়।

প্রথম নৌকায় ছিলেন ২৬ বাংলাদেশি, যাদের মধ্যে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দ্বিতীয় নৌকায় ছিলেন মোট ৬৯ জন—দুজন মিসরীয় এবং ৬৭ জন সুদানি নাগরিক, যার মধ্যে আটজন শিশু ছিল। দ্বিতীয় দুর্ঘটনায় সবাইকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

রেড ক্রিসেন্ট জানায়, দ্রুত উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে জীবিতদের উদ্ধার এবং মৃতদের মরদেহ সংগ্রহের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করে।

উল্লেখ্য, অবৈধভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার অন্যতম প্রধান রুট লিবিয়া। ২০১১ সালে নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর দেশটি ইউরোপগামী অভিবাসীদের প্রধান ট্রানজিট কেন্দ্রে পরিণত হয়। বর্তমানে সাড়ে ৮ লাখেরও বেশি অভিবাসী লিবিয়ায় অবস্থান করছে। গাদ্দাফির আমলে অভিবাসীরা কাজ পেলেও তার পতনের পর থেকে দেশটি বিভিন্ন মিলিশিয়ার সংঘাতে অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে।

জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, লিবিয়ায় শরণার্থী ও অভিবাসীরা প্রায়ই নির্যাতন, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির শিকার হন। যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়ন অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে লিবিয়ার কোস্টগার্ডকে সহায়তা দিচ্ছে, তবে ওই বাহিনীর সঙ্গে নির্যাতনে জড়িত মিলিশিয়ার সম্পর্ক থাকার অভিযোগ উঠেছে।

এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় উদ্ধার অভিযান কমে যাওয়া এবং দাতব্য সংস্থাগুলোর ওপর বিভিন্ন দেশের দমনমূলক পদক্ষেপের কারণে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়া আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

অনলাইন ডেস্ক/আর কে-০১

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর