আফজাল হোসেন চাঁদ, ঝিকরগাছাঃ যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের কায়েমখোলার চাঁদা গ্রামস্থ মহাসীন সরদারের বাড়ি থেকে মালদ্বীপ প্রবাসীর স্ত্রী জেনিয়া খাতুনের (২০) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা, পৌরসদরের কৃর্তিপুর মাঠপাড়া গ্রামের ছবুর গাজী (৬৫) বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন। তবে নিহতের পরিবারের দাবি—জেনিয়াকে হত্যা করা হয়েছে।
থানার সূত্রে জানা যায়, প্রায় তিন বছর আগে কায়েমখোলার চাঁদা গ্রামের মহাসীন সরদারের ছেলে বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে জেনিয়া খাতুনের বিয়ে হয়। তাদের ১৬ মাস বয়সী এক পুত্র সন্তান রয়েছে। সংসার জীবনে জেনিয়া শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে পারিবারিক কলহে জড়াতেন এবং সুখে ছিলেন না।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটের দিকে প্রতিবেশী ইব্রাহিম ফোন করে জানায়, জেনিয়া গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন—জেনিয়ার দেহ ঘরের সিলিং ফ্যানে ঝুলছে। পরে গলার ওড়না কেটে তাকে নামানো হয়।
পরিবারের ধারণা, স্বামীর সঙ্গে রাতে ফোনালাপে পারিবারিক কলহের এক পর্যায়ে জেনিয়া রাগের বশে আত্মহত্যা করেছেন।
তবে নিহতের মা ও স্বজনরা অভিযোগ করেছেন, গায়ের রং চাপা হওয়ায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রায়ই জেনিয়ার ওপর নির্যাতন করত। কিছুদিন আগে তাকে বাবার বাড়ি পাঠানো হয়, পরে স্বামী আবার বাড়িতে নিয়ে যায়। পরিবারের দাবি, ঘটনাস্থলের দৃশ্য ও শারীরিক ভঙ্গি দেখে আত্মহত্যা নয়, বরং এটি হত্যাকাণ্ড বলেই মনে হচ্ছে।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুর মোহাম্মদ গাজী বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা মনে হলেও, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আর কে-০৯







