যশোরের ঝিকরগাছায় চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেস ভ্যানচালক মাসুম বিল্লাল ওরফে মাসুদ (১৯) হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে ঝিকরগাছা থানা পুলিশ পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত তিন আসামিকে গ্রেফতার এবং নিহতের ব্যাটারিচালিত ভ্যানগাড়িটি উদ্ধার করেছে । আটককৃতরা হলেন, শার্শার উলশী গ্রামের বাসিন্দা ও সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার যুগি পুকুর গ্রামের সোহরাব সরদারের ছেলে কামরুজ্জামান সরদার ওরফে কামরুল।
পুলিশ জানায়, গত ৬ অক্টোবর সকালে ভ্যান চালানোর উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন মাসুম বিল্লাল। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ থাকেন। পরদিন তার পিতা আজিজ খান শার্শা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে ১০ অক্টোবর বিকেল ৩টার দিকে ঝিকরগাছা উপজেলার বায়শা গ্রামের প্রবাসী রবিউল ইসলামের নির্মাণাধীন বাড়ির রান্নাঘরের জানালার গ্রিলে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের পরনে থাকা পোশাক, গলায় ফিতা দড়ি এবং মুখে ঢোকানো ভ্যান মুছার কাপড় দেখে তাঁর পিতা লাশ সনাক্ত করেন। ঘটনার পর নিহতের পিতা আজিজ খান বাদী হয়ে ঝিকরগাছা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি স্পর্শকাতর হওয়ায় নাভারণ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আরিফ হোসেনের তত্ত্বাবধানে তদন্ত শুরু করেন ঝিকরগাছা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবু সাঈদ।
সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা কৌশল ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ প্রথমে ২২ অক্টোবর গভীর রাতে শার্শার উলশী এলাকা থেকে প্রধান আসামি আলী হাসান (২৫) কে গ্রেফতার করে। তাঁর স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পাটকেলঘাটার যুগিপুকুরিয়া গ্রাম থেকে আরও দুই আসামি শরিফুল ইসলাম (৩৮) ও কামরুজ্জামান সরদার ওরফে কামরুল (৩৬) কে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, আলী হাসান ও তাঁর সহযোগীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে শার্শার উলশী বাজার থেকে মাসুম বিল্লালের ভ্যানে ওঠে। পরে ঝিকরগাছার বায়শা গ্রামের পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে ভ্যান মুছার ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে মাসুমকে হত্যা করে এবং লাশ জানালার গ্রিলে ঝুলিয়ে রেখে ভ্যানগাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। পরদিন আসামিরা ভ্যানটি বিক্রি করে ফেলার চেষ্টা করে। শরিফুল ইসলাম ১৭ হাজার টাকায় ভ্যানটি কিনে নেয় এবং পরে কামরুজ্জামান সরদারের কাছে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে। গ্রেফতারকৃত তিন আসামিকে বৃহস্পতিবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিশেষ প্রতিনিধি







