লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি: নড়াইলের লোহাগড়ার দুটি গ্রামে পুলিশের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের লোকজনের নেতৃত্বে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাটসহ অন্তত ৩৫ জনকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি মো. আলম মুন্সীর বাড়ি সহ অন্তত ৩০টি বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাট করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে।
লোহাগড়া উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি মো. আলম মুন্সীসহ দিঘলিয়া পূর্বপাড় ও ভাটপাড়া গ্রামের ভুক্তভোগীরা জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার পর হঠাৎ ভাটপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য জামাল মুন্সী, কোটাকোল গ্রামের হিসাম শেখ (নাশকতা মামলার আসামি), আকরাম শেখ (নাশকতা মামলার আসামি), কোটাকোল ইউপির ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি লিটু মোল্যা, সাধারণ সম্পাদক মুস্তাক শেখ, যুবলীগের বদু মুন্সী ও জাহিদ মোল্যার নেতৃত্বে প্রায় দেড়শো (দেড়শ) জন লোক ঢাল, সড়কি, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় অন্তত ৩৫ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে রয়েছে ভাটপাড়া গ্রামের সাজ্জাদ মোল্লা (৩০), নওশাদ শেখ (৩৬), সামিউল মোল্লা (২৫), কোবাদ (৩৫), জুবাদ (৩৭), সোহেল মোল্লা (৩০), সোহান, সোহাগ, সজল মুন্সী, পিকুল মোল্লা, সাইফুল, দিঘলিয়া গ্রামের রবিউল মোল্লা (৩৫), দিঘলিয়া পূর্বপাড় গ্রামের বিল্লাল মোল্লা (৩৪), খায়ের মোল্লা (৪৫), দিঘলিয়া পূর্বপাড় গ্রামের রানী বেগম (২০), মিতু খানম, সাজেদা বেগম, নাসি। আহতরা লোহাগড়া ও নড়াইল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্তরা এ সময় দিঘলিয়া পূর্বপাড় গ্রামের রবিউল মোল্লা, আবু খায়ের মোল্লা, আয়নাল মোল্লা, রাজ্জাক মোল্লা, ডাবলু মোল্লা, সাগর মুন্সী, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আলম মুন্সী, মুসা মোল্লা, মোশাররফ মোল্লাসহ ৩০টি বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, অভিযোগ রয়েছে পুলিশের উপস্থিতিতে এ লুটপাট করা হয়েছে। পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করেছে।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সঠিক নয়। ওই এলাকার লোকজন জানায়, আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ভয়ে আতঙ্কে আছে। বিষয়টি তারা তদন্ত করছেন।
