Friday, December 5, 2025

ইসরায়েলের নৌ অবরোধ ভাঙতে গাজামুখী ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছানো ও ইসরায়েলের আরোপিত নৌ অবরোধ ভাঙতে প্রায় ৪৫টি জাহাজে করে গাজার দিকে রওনা দিয়েছিলেন প্রায় ৫০০ অধিকারকর্মী। তবে দখলদার ইসরায়েল তাদের গাজায় যেতে দেয়নি। বুধবার রাতে ইসরায়েলি নৌ কমান্ডোরা এসব জাহাজ আটক করা শুরু করে।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, গাজামুখী ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ যাত্রা গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই থেমে গেছে। এ সময় কোনো বড় ঘটনা ঘটেনি বলেও তারা দাবি করে।

বিবৃতিতে ফ্লোটিলাটিকে হামাস-ফ্লোটিলা আখ্যা দিয়ে বলা হয়, হামাস-ফ্লোটিলার উস্কানিমূলক জাহাজ সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ কিংবা নৌ অবরোধ ভাঙতে পারেনি। জাহাজের সব যাত্রী নিরাপদে আছেন। তাদের ইসরায়েলে নেওয়া হচ্ছে এবং পরে ইউরোপে পাঠানো হবে।

ইসরায়েলি মন্ত্রণালয়ের দাবি অনুযায়ী, একটি জাহাজ এখনো সমুদ্রে অবস্থান করছে। কারিগরি ত্রুটির কারণে সেটি গাজার কাছে পৌঁছাতে পারেনি। তবে গাজামুখী হওয়ার চেষ্টা করলে সেটিকেও আটক করা হবে বলে সতর্ক করেছে ইসরায়েল।

অন্যদিকে ফ্লোটিলার আয়োজকরা বলেছিলেন, একটি জাহাজ গাজার জলসীমায় প্রবেশ করেছে। কিন্তু ইসরায়েলি দাবি অনুযায়ী, লাইভ ট্র্যাকার ত্রুটির কারণে সেটি এমনভাবে দেখানো হয়েছিল। এ বিষয়ে কোনো স্বাধীন সূত্র থেকে সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।

রয়টার্স জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি নৌ কমান্ডোরা ৩৯টি জাহাজ আটক করেছে। তবে একটি জাহাজ এখনো গাজার দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

গত মাসে স্পেন থেকে যাত্রা শুরু করে ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’। এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানবাধিকারকর্মী ও ফিলিস্তিনপন্থী রাজনীতিবিদরা রয়েছেন। উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে আছেন সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ।

গাজার ওপর আরোপিত অবরোধ ভাঙাই ছিল এই নৌবহরের মূল লক্ষ্য। ইতোমধ্যেই গাজায় দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।

অনলাইন ডেস্ক/আর কে-১১

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর