যশোরের বেনাপোলে পাটবাড়ী আশ্রমে নির্যান তিথির অনুষ্ঠানে চাঁদাবাজির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রাজু আহমেদ সুইটকে আটকের পর তার সহযোগী মাসুম বিল্লাহ পালিয়েছে । তবে পুলিশ তাকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এদিকে, সুইট আটকের পর এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। একই সঙ্গে এলাকাবাসী দ্রুত মাসুম বিল্লাহকে আটকের দাবি জানিয়েছেন। আটক সুইট দূর্গাপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে। পলাতক মাসুম বিল্লাহ কাঠালবাগান এলাকার কালাম হোসেনের ছেলে।
সূত্র জানায়, গত ৫ ও ৬ সেপ্টেম্বর বেনাপোলে দেশ-বিদেশ থেকে প্রায় ১০ হাজার ভক্ত সমাগম ঘটে পাটবাড়ী আশ্রমে নির্যান তিথির মহাউৎসবে। এ সময় রাজু আহমেদ সুইট ও তার সহযোগী মাসুম বিল্লাহসহ আরও কয়েকজন হাতে চাপাতি নিয়ে গাড়িচালকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করতে থাকে। তারা প্রায় ২০টি বাস থেকে ১০ হাজার টাকা, ৩৫টি মাইক্রোবাস থেকে ১০ হাজার ৫০০ টাকা এবং ১৫টি প্রাইভেটকার থেকে ৩ হাজার টাকাসহ মোট ২৩ হাজার ৫০০ টাকা আগত ভক্তদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেন। ৬ সেপ্টেম্বর বিষয়টি নিয়ে আয়োজক কমিটি প্রতিবাদ করলে স্বেচ্ছাসেবকদের নানা ধরনের হুমকি-ধামকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ৯ সেপ্টেম্বর পূজায় গাড়ি পার্কিংয়ের দায়িত্বে থাকা দূর্গাপুরের সোহাগ হোসেন বাদী হয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করেন। মামলায় আরও উল্লেখ করা হয় যে এলাকাবাসী সুইট ও মাসুমের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এলাকায় মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে এমন কোনো কাজ নেই যা তারা করেন না।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই খায়রুল ইসলাম মামলাটির তদন্তে ঘটনার সত্যতা পান। তদন্তে উঠে আসে সুইটের বিরুদ্ধে এর আগে তিনটি মামলা রয়েছে। পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে সুইটকে আটক করে। ৯ সেপ্টেম্বর তাকে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
তদন্ত কর্মকর্তা এসআই খায়রুল ইসলাম বলেন, মাসুম বিল্লাহকে আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে এখনো তাকে পাওয়া যায়নি।
বিশেষ প্রতিনিধি







