আজম খাঁন, বাঘারপাড়া (যশোর): যশোরের বাঘারপাড়া ও মাগুরার শালিখা উপজেলার মধ্যে চিত্রা নদীর ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকোটি পানির তোড়ে ভেঙে পড়েছে। এতে দুই উপজেলার অন্তত ১৫ গ্রামের হাজারো মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এখন ঝুঁকিপূর্ণভাবে কলার ভেলায় নদী পারাপার করছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ৪০০ মিটার দীর্ঘ ও ৪ ফুট চওড়া ওই বাঁশের সাঁকোটি ছিল দুই উপজেলার মানুষের একমাত্র যাতায়াত মাধ্যম। সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় ক্ষেত্রপাড়া, পাঠানপাইকপাড়া, খানপুর, হরিশপুর, পাঁচকাওনিয়া, আড়–য়াকান্দি, খাজুরা, বন্দবিলা, গাইদঘাট, সীমাখালী ও নারকেলবাড়িয়াসহ অন্তত ১৫ গ্রামের মানুষ এখন বিপাকে পড়েছেন। বিশেষ করে শিক্ষার্থী, নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা দুর্ভোগে আছেন।
খানপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পলাশ কুমার মণ্ডল জানান, নদীর অপর পাড় থেকে তার বিদ্যালয়ে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫ জন শিক্ষার্থী আসে। সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় তারা এখন স্কুলে আসতে পারছে না। একই অবস্থা প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসাগুলোতেও দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় বাজার কমিটির সভাপতি অশোক বিশ্বাস বলেন, সপ্তাহে দু’দিন এ বাজারে হাট বসে। শালিখার বিভিন্ন গ্রাম থেকে কৃষকরা কৃষিপণ্য বিক্রি করতে আসেন। সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় তারা চরম সমস্যায় পড়েছেন।
গ্রামবাসী জানান, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও এই নদীতে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণ হয়নি। নিজেদের উদ্যোগে বহু বছর ধরে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে পারাপারের ব্যবস্থা করলেও তা টেকসই নয়। তাই তারা সরকারের কাছে দ্রুত স্থায়ী সেতু নির্মাণের দাবি জানান।
যশোর জেলা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ মাহবুবুর রহমান বলেন, “নদীর দুই পাড়ে সড়কের আইডি আছে কিনা তা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। উপজেলা প্রকৌশলীকে সরেজমিনে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”







