ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) তিনটি ছাত্রী হলে কোনো নারী প্রভোস্ট নেই। সব ক’টি হলে পুরুষ শিক্ষক প্রভোস্টের দায়িত্ব পালন করছেন। এতে নিরাপত্তা, স্বাচ্ছন্দ্য ও নারীবান্ধব পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থীরা।
বর্তমানে জুলাই-৩৬ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. একেএম শামসুল হক, উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা সিদ্দিকা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. একেএম রাশেদুজ্জামান এবং খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জালাল উদ্দিন। তবে তিন হলে ‘হল টিউটর’ পদে একাধিক নারী শিক্ষক থাকলেও সর্বোচ্চ প্রশাসনিক দায়িত্বে কোনো নারী শিক্ষক নেই।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলছেন, নারী প্রভোস্ট না থাকায় তাদের নানা সমস্যায় বিব্রত হতে হয়। আবাসিক শিক্ষার্থী ফাতেমা খাতুন বলেন, “ছাত্রী হলে নারী প্রভোস্ট নিয়োগ শুধু প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নয়, এটি নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার সঙ্গেও জড়িত। নারী প্রভোস্ট থাকলে আমাদের সমস্যাগুলো সহজে বোঝা এবং সমাধান করা সম্ভব হতো।”
জুলাই-৩৬ হলের ছাত্রী সুমাইয়া খাতুন বলেন, “হলে পুরুষ প্রভোস্ট থাকায় মাঝে মাঝে আমরা বিব্রত হই। মুসলিম ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের জন্য পর্দার বিষয় আছে। স্যার মাঝে মাঝে ফ্লোরে আসেন, যা আমাদের জন্য অস্বস্তিকর।”
অন্য শিক্ষার্থী অর্পা ঘোষ বলেন, “একজন নারী প্রভোস্ট যেভাবে নিরাপত্তা ও চাহিদা বুঝতে পারেন, পুরুষ প্রভোস্ট সেভাবে নাও বুঝতে পারেন। তাই নারীবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতে অবশ্যই নারী প্রভোস্ট দেওয়া প্রয়োজন।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “আমি নিজেও মেয়েদের হলে নারী প্রভোস্ট দিতে চাই। তবে বর্তমানে নারী অধ্যাপকের সংখ্যা কম এবং রাজনৈতিক বিবেচনার কারণে এ সংকট তৈরি হয়েছে। মেয়েদের হলে নারী প্রভোস্টই যথোপযুক্ত।”
শিক্ষার্থীরা বলছেন, দ্রুত ছাত্রী হলে নারী প্রভোস্ট নিয়োগ না দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নারীবান্ধব পরিবেশ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে।