নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরের চৌগাছা পশুর হাটের ইজারা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সর্বোচ্চ দরদাতা আতিউর রহমান লাল ইজারা পাননি। বরং ইজারা দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা ‘শহিদুল ইসলাম’-কে। ফলে সরকার ৭১ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, পৌরসভার সাবেক মেয়র নূর উদ্দীন আলম মামুন হিমেল নেতৃত্বে ২০২৪ সালে কৌশলে শহিদুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান নামে ৮০ লাখ ১৫ হাজার টাকায় ইজারা দেয়া হয়। আর সেই পশুহাট থেকে এখনও পৌরসভা ৯ লাখ ৫৮ হাজার ৭৫০ টাকা পাবে। আবারও সেই চক্রকে চৌগাছা পশু হাট দেয়া হয়েছে। এতে পৌরসভার প্রশাসনের উপরে ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
তারা আরও বলছেন, আতিউর রহমান লাল ২ কোটি ৫১ লাখ টাকা সর্বোচ্চ দরদাতা হন। এ ঘোষণার পর চৌগাছা বাজারসহ মহেশপুর, কোটচাঁদপুর, কালীগঞ্জন এবং পত্র-পত্রিকায় আতিউর রহমান লাল পশু হাট পেয়েছে বলে প্রচার করা হয়। পরে শুনি কোন এক অদৃশ্য শক্তির কারণে পৌরসভার প্রশাসন ও মূল্যায়ন কমিটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা শহিদুল ইসলামকে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার বিনিময়ে হাট ইজারা দেয়া হয়। ফলে সরকার ৭১ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
আতিউর রহমান লাল প্রতিবেদকে বলেন, চৌগাছা পৌর প্রশাসক আমাকে কোনও কারণ জানায়নি। অন্যের মুখে শুনেছি, আমার কাগজপত্রে ঝামেলা আছে নাকি, তাই আমাকে পশু হাট দেয়া হয়নি। তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোন কারণ জানানো হয়নি।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ট্রেন্ডার হওয়ার পর থেকে আমি অসুস্থ। ঢাকায় চিকিৎসাধীন। যার কারণে পৌর প্রশাসকের সাথে যোগাযোগ করতে পারেনি।
এদিকে, গত শনিবার পৌর পশুহাটের পরির্দশনে যান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি শেলী। সে সময় বিএনপি নেতা গোবিন্দ কুমার রাহা সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি শেলীর উদ্যেশে বলেন, চৌগাছায় একটি মাত্র পশুহাট। এটি আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে প্রতিষ্ঠা করেছি। একটি সিন্ডিকেট এই হাট ধ্বংসের পায়তারা করা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সব কথা শোনার পর বলেন, চৌগাছার একমাত্র পশুহাট কেন ধ্বংস করা হবে? এর সঙ্গে অনেক মানুষের জীবনজীবিকা জড়িত। বিষয়টি খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখবো।’
এ বিষয়ে চৌগাছা পৌর প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসমিন জাহান বলেন, আমি কিছু জানি না। মূল্যায়ন কমিটি ছিল তারা বিষয়টি ভালো বলতে পারবে।
মূল্যায়ন কমিটি সদস্য প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সর্বোচ্চ দরদাতা আতিউর রহমান লালের টিন সার্টিফিকেট ছিল না। যার কারণে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা শহিদুল ইসলাম হাট পেয়েছে।







