বিশ্ববিদ্যালয় শুধু শেখার জায়গা নয়, এটি স্বপ্ন দেখারও জায়গা বলে মন্তব্য করেছেন নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (২৯ মার্চ) বেইজিংয়ে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষার্থীদের বড় স্বপ্ন দেখার আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, “স্বপ্ন দেখতে পারা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শক্তি। আপনি যদি স্বপ্ন দেখেন, তবে তা একদিন বাস্তব হবে। যদি স্বপ্ন না দেখেন, তবে তা কখনও ঘটবে না।”
তিনি আরও বলেন, মানব সভ্যতার যাত্রা হলো অসম্ভবকে সম্ভব করা। অতীতের দিকে তাকিয়ে দেখুন, যা কিছু ঘটেছে, কেউ না কেউ আগে তা কল্পনা করেছিল। কল্পনার শক্তি যে কোনো কিছু থেকে বেশি।
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজের ঘর বলে উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়টি আমাকে সম্মানসূচক অধ্যাপক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, যা আমার জন্য গর্বের।” তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টিকে জ্ঞান, প্রজ্ঞা, উদ্ভাবন ও উৎকর্ষতার কেন্দ্র হিসেবে অভিহিত করেন।
তিনি আরও বলেন, “আমাদের স্বপ্ন ছিল একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার, যেখানে দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত একটি গণতান্ত্রিক ও স্থিতিশীল দেশ থাকবে। উদ্যোক্তা বিকাশকে গুরুত্ব দিয়ে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।”
অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মানুষ জন্মগতভাবে দরিদ্র নয়, বরং ভুল অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কারণে দরিদ্র হয়ে পড়ে। সমাজে প্রচলিত অনেক ভুল ধারণার কারণেই মানুষ কষ্ট ভোগ করে।”
ড. ইউনূস বলেন, “মানুষ জন্মগ্রহণ করে চাকরি খোঁজার জন্য নয়, বরং তারা সৃষ্টিশীল। মানুষকে চাকরিপ্রার্থী না হয়ে উদ্যোক্তা হতে উৎসাহিত করতে হবে।”







