Wednesday, March 26, 2025

যশোর জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তারদের বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি, ভোগান্তি চরমে

যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তাররা কর্মবিরতি পালন করছেন। প্যারামেডিকেল চিকিৎসকদের নামের আগে ‘ডাক্তার’ শব্দ ব্যবহারের প্রতিবাদসহ ৫ দফা দাবিতে তারা এ কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করেছেন। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে রোগীদের। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে যশোর মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচী পালন করে।

মেডিকেল কলেজ সূত্র জানায়, যশোর মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন ডাক্তার এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা: আজম  ও সাধারণ সম্পাদক ডা: নাঈমের নেতৃত্বে আজ সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বহির্বিভাগের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া সকালে তারা বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সমাবেশে শিক্ষক সমিতির ডাক্তার নাজমুল হোসেন, ডাক্তার ওবাইদুল কাদের উজ্জলসহ নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।

সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই ইস্যুতে উচ্চ আদালতের রায় ঘোষণা হওয়ার কথা রয়েছে। যদি আদালতের রায় আন্দোলনকারীদের বিপক্ষে যায়, তবে তারা আগামীকাল থেকে পূর্ণাঙ্গ শাটডাউনের পরিকল্পনা করছেন।

হাসপাতালের  তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হুসাইন  শাফায়াত জানান, এটি শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি, তবুও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগী সেবা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।

হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন করে দেখা যায়, জরুরি ওয়ার্ড, পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ড, মহিলা সার্জারি ওয়ার্ড, আইসিইউ, সিসিইউ, ও গাইনি ওয়ার্ড ব্যতীত অন্যান্য ওয়ার্ডের চিকিৎসা সেবা সীমিত আকারে চালু রয়েছে। এছাড়া বহি:বিভাগ বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছে রোগীরা।

চিকিৎসকদের পাঁচ দফা দাবি গুলো হলো…..

১. এমবিবিএস/বিডিএস ডিগ্রিধারী ছাড়া অন্য কেউ নামের আগে ‘ডাক্তার’ পদবি ব্যবহার করতে পারবে না। আদালতে চলমান এ সংক্রান্ত আইন ও জনস্বাস্থ্য বিরোধী সব রিট আবেদন আগামী ১২ মার্চের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে এবং বাংলাদেশে ‘ডিপ্লোমা চিকিৎসক’ নামে বিভ্রান্তিকর কোনো পদবির প্রচলন করা যাবে না, যার অস্তিত্ব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা বিশ্বের কোথাও নেই।

২. ‘রেজিস্টার্ড চিকিৎসক (এমবিবিএস /বিডিএস) ছাড়া অন্য কেউ স্বাধীনভাবে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারবে না’ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।

৩. আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট কোর্স কারিকুলাম সংস্কার কমিটি গঠন করে তাদের কোর্স কারিকুলাম পুনর্নির্ধারণ এবং মানহীন সকল ম্যাটস (মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল) বন্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে হবে।

৪. জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের জন্য শূন্যপদে পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসক নিয়োগ এবং চিকিৎসকদের বিসিএসের বয়সসীমা ৩৪ বছরে উন্নীত করতে হবে।

৫. অবিলম্বে চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং বেসরকারি চিকিৎসকদের জন্য সুনির্দিষ্ট বেতন কাঠামো (পে-স্কেল) তৈরি করতে হবে।

রাতদিন সংবাদ

 

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর