সূত্র মতে, নিহতদের মধ্যে তামুন ব্রিগেডের কমান্ডার ছিলেন ওমর বিশারাত। তবে, কেবল ইসরায়েলি বাহিনী নয়, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা বাহিনীও তামুন ব্রিগেডের সদস্যদের গ্রেফতার বা হত্যা করার চেষ্টা করছে। গত মঙ্গলবার তারা ব্রিগেডের এক সদস্যকে গুলি করে আহত করার পর গ্রেফতার করে।
এর আগে, গত ২২ জানুয়ারি পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে আরও ১০ জন নিহত হন। জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার ফ্রান্সেসকা আলবানিজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে উল্লেখ করেন, ‘গাজায় বহুল প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়িত হলেও ইসরায়েলের নিধন যজ্ঞের যন্ত্রণা পশ্চিম তীরে তীব্রতর হয়ে ১০ জনকে হত্যা করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদি এটি থামাতে বাধ্য না করা হয়, তবে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি গণহত্যা কেবল গাজায় সীমাবদ্ধ থাকবে না।’
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরু হয় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর। দীর্ঘ ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে চলা এই আগ্রাসনে প্রাণ হারান ৪৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬ হাজার ৮৯৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলমান হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার ৭২৫ জন আহত হয়েছে। অনেক মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছে, যাদের কাছে উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছাতে পারছেন না।
অনলাইন ডেস্ক/আর কে-১১