নারীরা যুগে যুগে ইতিহাসের পাতায় অবদান রেখেছেন তাদের মেধা, শ্রম এবং নেতৃত্ব দিয়ে। প্রাচীনকাল থেকে আধুনিক বিশ্ব পর্যন্ত নারীরা পরিবার, সমাজ, অর্থনীতি এবং রাজনীতিতে তাদের অপরিহার্য উপস্থিতি প্রমাণ করেছেন।
নারী পরিবারের কেন্দ্রবিন্দু। সন্তানদের শিক্ষার প্রথম পাঠশালা মা। পরিবারের মানসিক, নৈতিক এবং সাংস্কৃতিক ভিত্তি স্থাপনে নারীদের ভূমিকা অপরিসীম। একটি শক্তিশালী সমাজ গঠনের মূল ভিত্তি একটি সুস্থ ও শিক্ষিত পরিবার, যা গড়ে তোলার মূলে রয়েছে নারীর প্রচেষ্টা।
বর্তমান বিশ্বে নারীরা কর্মক্ষেত্রের সব স্তরে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন। প্রযুক্তি, ব্যবসা, শিল্প, কৃষি থেকে শুরু করে মহাকাশ গবেষণায় নারীদের অবদান অসামান্য। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব—সবখানেই তারা প্রমাণ করছেন তাদের সামর্থ্য।
নারীরা শুধু সমাজ নয়, রাষ্ট্র পরিচালনায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। বিশ্বজুড়ে বহু দেশের প্রধানমন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট কিংবা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার আসনে নারী নেতৃত্ব এখন সাধারণ বিষয়। তারা শান্তি আলোচনায়, আইন প্রণয়নে এবং বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন।
নারীরা শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষক ও গবেষক হিসেবে যেমন অবদান রাখছেন, তেমনি স্বাস্থ্যসেবায় ডাক্তার, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। করোনা মহামারির সময় স্বাস্থ্যসেবায় নারীদের ত্যাগ ও দায়িত্বশীলতা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে।
নারীরা অনেক সাফল্য অর্জন করলেও, তাদের সামনে এখনো বহু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। লিঙ্গবৈষম্য, সহিংসতা, এবং সামাজিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও নারীরা তাদের দক্ষতা ও সাহস দিয়ে এগিয়ে চলেছেন।
নারীদের এই অগ্রযাত্রা শুধু তাদের নিজের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীকে একটি উন্নত, সাম্যপূর্ণ এবং মানবিক সমাজ উপহার দিচ্ছে। নারীরা আজ শুধু পরিবর্তনের ধারক নন, বরং সমগ্র বিশ্বের প্রেরণার প্রতীক।
রাতদিন ডেস্ক স্পেশ্যাল/আর কে-১১