অবিভক্ত ঢাকা মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এবং তৎকালীন ঢাকা-১১ (বর্তমান ঢাকা-১৪) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এস এ খালেক মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রোববার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার মৃত্যুর বিষয়টি পরিবারের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
এস এ খালেক দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন। তার হার্টে ১৩টি রিং বসানো ছিল। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত বুধবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার রাতে তাকে ভেন্টিলেটর সাপোর্ট দেওয়া হয়, তবে চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে রোববার বিকেলে তার মৃত্যু হয়।
রোববার দুপুরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম হাসপাতালে তাকে দেখতে যান।
রাজনীতির পাশাপাশি এস এ খালেক একজন সফল ব্যবসায়ী ছিলেন। আবাসন খাত, পরিবহনসহ বিভিন্ন সেক্টরে তার বড় বিনিয়োগ ছিল। তার পরিবার সমাজসেবামূলক বিভিন্ন কার্যক্রমেও সক্রিয়।
এস এ খালেক বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাত ধরে রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯৭৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন ঢাকা-১৪ আসন থেকে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এরপর ১৯৮৬ এবং ১৯৮৮ সালে পরপর দুবার সংসদ সদস্য হন। ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালেও তিনি বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
তার জনপ্রিয়তার স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের প্রখ্যাত রাজনীতিক ও আইনজীবী ড. কামাল হোসেনও তার কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। বৃহত্তর মিরপুর অঞ্চলে তার উন্নয়নমূলক কার্যক্রম ব্যাপকভাবে প্রশংসিত। মিরপুর ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ইনডোর স্টেডিয়াম, গাবতলী বাসস্ট্যান্ড এবং বেড়িবাঁধ নির্মাণসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, এস এ খালেক তার নির্বাচনী এলাকায় অন্যতম জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। তার মৃত্যুতে বিএনপি পরিবার একজন অভিজ্ঞ ও দক্ষ নেতাকে হারালো।







