কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধিঃ কেশবপুর মডার্ণ হাসপাতালের নিম্নমানের চিকিৎসক, নোংরা পরিবেশসহ অপচিকিৎসায় একাধিক রোগীর মৃত্যুসহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে। এবার ভুল অপারেশন মৃত্যু পথযাত্রী রোগীকে বাঁচাতে সবকিছু হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে পথে বসেছে মঙ্গলকোট গ্রমের শরিফুল ইসলাম। এবিষয়ে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকট লিখিত অভিযোগ করেন ভূক্তভোগী।
তথ্য সুত্রে জানা যায়, উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামের সাহেব আলীর পুত্র শরিফুল ইসলামের স্ত্রী মর্জিনা বেগমের সিজার করার সময়ে তার মুত্রনালী বায়ুসঞ্চালন পথের কয়েকটি রগ কেটে তা গোপন করে রাখে। একসপ্তাহ পর তার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ আব্দুর রব জানান, ভুল অপারেশন করে তাকে অনেক ক্ষতি সাধন করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে রোগীর বায়ুপথে তিন টি অপারেশন করতে হবে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজে এক মাসের ব্যবধানে তিনটি অপারেশন করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮ মাস ভর্তি থেকে চিকিৎসা সেবা দিতে রুগীর স্বজনদের জমাজমি সব বিক্রি করে ১৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যায় করতে হয়েছে। তিনি আরো বলেন, তার স্ত্রীর অবস্থার বিষয় নিয়ে মডার্ণ হাসপাতালের মালিক রবিউল ইসলামকে জানালে তিনি তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ও পুলিশের ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছে। এরপর অপারেশন থিয়েটারের ডাঃ আব্দুস সামাদের নিকটে গিয়ে অভিযোগ করলে ঐ সময়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহেনা তার বেয়াই হয়। তাকে কেউ কিছু করতে পারবে না।
এদিকে, কেশবপুর সরকারি হাসপাতালের সামনে অবস্থিত বেসরকারি ক্লিনিক “মডার্ণ হাসপাতালটি” প্রতিষ্ঠার শুরুতেই একের পর এক নানামুখী অভিযোগে অভিযুক্ত। মডার্ণ হাসপাতালটি শুরু থেকে বহু অভিযোগে অভিযুক্ত। হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার,প্যাথলজিসহ ওয়াডের ভিতর নোংরা পরিবেশ, ভুল অপারেশনে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে একাধিক বার সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ মর্ডান হাসপাতালটি ছিলগালা করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আবারও কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে হাসপাতালটি চালু করা হয়।
এবিষয়ে কেশবপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, বেসরকারী এই ক্লিনিকটির বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে বহু অভিযোগের কথা শুনেছি এবং অনেক অভিযোগও পেয়েছি। মডার্ণ হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তের জন্য একটি টিম গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।







