যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের মালেশিয়া প্রবাসী আসানুর রহমানের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও টাকা না দেয়ায় অপহরণ করে ফাঁকা স্টাম্পে সই করে নেয়ার অভিযোগে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার প্রবাসী কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের আসানুর রহমান নিজে বাদী হয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেছেন।
বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রহমত আলী অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। আসামিরা হলেন, আসামিরা হলেন শার্শার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের ইয়াছিন আলীর দুই ছেলে ইউনুস আলী ও মারোয়ান, আজিবার রহমানের ছেলে বাশিউর রহমান বাশি, বাশিউর রহমানের জামাই আব্দুর রহমান, হারেজ মোড়লের ছেলে মোস্তফা, মোস্তফার ছেলে হাবিবুর রহমান, কিতাব আলীর ছেলে আব্দুল আলিম, আব্দুল আলিমের ছেলে নুর হোসেন, রামপুর গ্রামের দাউদ গোলদারের দুই ছেলে লাল্টু হোসেন ও মিন্টু হোসেন।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, তিনি দীর্ঘদিন মালয়েশিয়ায় বসবাস করতেন। দেশে এসে নিজ এলাকায় ব্যবসা শুরু করেন। তার এই ব্যবসা দিকে নজর পড়ে আসামিদে। ব্যবসা করতে হলে তাদেরকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে অন্যথায় নানা ধরনের হুমকি ধামকি দেয়। এরমাঝে গত ১৯ অক্টোবর বাদী শার্শা বাজার মোড় থেকে বাড়ি ফেরার পথে আসামিরা তাকে দেখে চাঁদার টাকা দাবি করে। না দেয়ায় মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে তার পালসার মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয়। ওই রাতেই আসানুর থানায় অভিযোগ দিয়ে বের হলে তাকে অপহরণ করে রামপুর বাজারের অজ্হাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পরিবারকে খবর দেয়া হলে আসানুরের স্ত্রী শারমীন, ভাই হাসানুরসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে আসে। এসময় ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই টাকা দাবি করে। টাকা না দেয়ায় তিনটি ১০০ টাকার নন জুডিসিয়াল অলিখিত স্টাম্পে আসানুর ও তার পরিবারের সাক্ষর করিয়ে নেয়। একই সাথে আসানুরের কাছে থাকা নগদ ৪১ হাজার টাকা ও পালসার মোটরসাইকেলের কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। একই সাথে চাঁদার টাকা এক সপ্তাহের মধ্যে দিতে বলে আসামিরা। অন্যথায় হত্যার হুমকি দেয়া হয়। বাদী বাধ্য হয়ে আদালতের আশ্রয় নেন।







