ঝিকরগাছার কৃষ্ণনগর ও শ্রীরামপুর গ্রামের দুই পরিবারের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। শ্রীরামপুর গ্রামের সাজ্জাদুল ইসলাম তার দাদার বিক্রি করা জমি আদালতের মাধ্যমে একতরফা রায় পেয়ে দখলের চেষ্টায় এ উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, ঝিরগাছা মৌজার আর এস ৭০০ দাগের জমি ৭২ শতক জমি জামশেদ আলী মোন্ডল ১৯৬৭ সালে কৃষ্ণনগর গ্রামের আমজাদ হোসেন ও আফজাল হোসেনের কাছে আলাদা দলিলে বিক্রি করেন। আমজাদ হোসেন ও আফজাল হোসেন দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে তাদের নামে নামপত্তন করে ভোগদলখ করেন। আফজাল হোসেন ও আমজাদ হোসেনের মৃত্যুর পর ১৯৯০ সালে তোদের ওয়ারেশদের নামে রেকর্ড হয়। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া এ জমি আফজাল হোসেন ও আমজাদ হোসেনের ওয়ারেশগণ শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগদখল করছেন।
বেশ কয়েক বছর আগে জামশেদ আলী মন্ডলের পোতা ছেলে সাজ্জদুল ইসলাম সাজু আর এস ৭০০ দাগের ৭২ শতক জমির ১৯৬২ সালের রেকর্ড অনুযায়ী তাদের দাবি করে আদালতে দেওয়ানি মামলা করেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আফজাল হোসেন ও আমজাদ হোসেনের ওয়ারেশদের পক্ষে রায় আসে।
সুচতুর সাজ্জাদুল ইসলাম সাজু আরএস রেকর্ড সংশোধনীর দাবি করে যশোর আদালতে এলএসটি মামলা করেন আমজাদ ও আফজাল হোসেনের ওয়ারেশগণকে বিবাদী করে। আদালতে দেয়া নোটিশ গোপন করে সাজু একতরফা রায় নেয়ার চেষ্টা করেন। শেষ পর্যায়ে আফজাল ও আমজাদের ওয়ারেশগণ বিষয়টি অবহিত হয়ে আদালতে মামলায় অংশগ্রহণ করেন। জমা দেন তাদের বৈধ্য দলিলপত্র। আদালতের বিচারক তা আমলে না নিয়ে একতরফা রায় দেন সাজ্জাদুল ইসলাম সাজুর পক্ষে। সাজু তড়িঘড়ি করে আদালতে রায় তুলে নামপত্তনের জন্য জমা দেন সেটেলমেন্ট অফিসে। আফজাল হোসেন ও আমজাদ হোসেনের ওয়ারেশগণ এ মামলার রায়ের কপি তুলে আপিল করেন। আপিলের কাগজপত্র ভুমি অফিসে জমা দিলে নামপত্তন কার্যক্রম বন্দ হয়ে যায়। ফলে সাজু এতে চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয়েছেন। প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছেন আফজাল ও আমজাদ হসোনের ওয়ারেশদের। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় সাজু তার লোকজন নিয়ে আফজাল হোসের ও আমদাজ হোসেনের ওয়ারেশদের বড়ধরনে ক্ষতি করতে পারে।
রাতদিন সংবাদ/আর কে-০৯







