বিয়ে অস্বীকার ও বাড়িতে রেখে ধর্ষণের অভিযোগের স্বামী-শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে যশোর আদালতে একটি মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী ওই যুবতী এ মামলা করেছেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক গোলাম কবির অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার আদেশ দিয়েছেন কোতয়ালি থানার ওসিকে।
আসামিরা হলো, যশোর সদরের আব্দুলপুর গ্রামের মিলন ও তার স্ত্রী নাসিমা বেগম এবং ছেলে হৃদয়।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, একই গ্রামের বাসিন্দা হওয়ায় আসামি হৃদয়ের সাথে পূর্বপরিচয় ছিল ওই যুবতী। আসামি হৃদয় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই যুবতীকে ২০২৩ সালের ৩ জুন মৌলভী দিয়ে বিয়ে করে। এরপর হৃদয় তার স্ত্রীকে নিয়ে বাড়িতে ওঠে। হৃদয়ের পিতা ও মা ওই যুবতীকে পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নেয়। এরপর হৃদয় ও তার পরিবারের লোকজন ওই যুবতীর কাছে তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। ওই যুবতী যৌতুকের টাকা এনে দিতে অস্বীকার করে। চলতি বছরের ৩ মে আসামিরা ওই যুবতীর কাছে যৌতুকের টাকা দাবি করলে পিতার বাড়ি থেকে এনে দিতে অস্বীকার করে। এসময় হৃদয় তাকে বিয়ে করেনি বলে মারপিট করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। আসামি হৃদয় অপর আসামিদের সহযোগীতায় ওই যুবতীর বিয়ে অস্বীকার বাড়িতে রেখে শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করায়রা তিনি আদালতে এ মামলা করেছে।
রাতদিন সংবাদ/আর কে-০১







