বিশেষ প্রতিনিধি- যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার ভবদহ কলেজের এক প্রদর্শকের বিরুদ্ধে মাছের ঘের জবরদখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
অভয়নগর মনিরামপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী কপালিয়া গ্রামে ওই ঘেরটি অবস্থিত। ওই ঘেরের মালিক তার বিনিয়োগ করা মাছের খামারটি শান্তিপূর্ণ ভাবে মাছ চাষের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। জানা গেছে ঘেরটির মালিক নওয়াপাড়া মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ তাজমিনুর রহমান (৫২)। এ ঘটনায় তিনি মনিরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। স্থানীয় লোকজন ও থানার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে অভয়নগর উপজেলার মৃত আনসার আলী মোল্যার ছেলে নওয়াপাড়া মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ তাজমিনুর রহমান মনিরামপুর উপজেলার কপালিয়া মৌজার খতিয়ান ১৬৪৩ নং ৪৮৯৪হাল দাগের তপসিল ভুক্ত ১১৫ শতাংশ জমি নিয়ে মাছের ঘের করেছেন। তিনি ১০বছর চুক্তিতে অনেক আগে থেকে লিজ নিয়ে মাছ চাষাবাদ করে আসছে। ওই মাছের ঘের প্রতি বছর ৩০হাজার টাকায় ১০বছরের জন্য তাকে লিজ প্রদান করে হোসেন আলী গাজী। লিজ পাওয়ার পর থেকে মাছের ঘেরে এ বছর প্রায় ৩ লাখ টাকার মাছ ছেড়ে দেন। লিজের মেয়াদ এখন্াে ৬ বছর বাকি আছে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি হলেন কপালিয়া গ্রামের মৃত- আব্দুর রহমান সরদারের ছেলে মামুন অর রশিদ খসরু।তিনি স্থানীয় ভবদহ কলেজের একজন প্রদর্শক। এ ছাড়া অভিযুক্ত অন্যরা হলেন স্থানীয় হাসেন আলী গাজীর ছেলে ইকবাল হোসেন ও দলিল উদ্দিন সরদারের ছেলে শরিফুল ইসলাম(৩৫) মৃত হোসেন আলী গাজীর ছেলে আলতাফ হোসেন। তারা ঘের মলিককে ভয়ভীতি দেখিয়ে মাছের ঘের জবর দখলের চেষ্টা করে আসছেন। থানার অভিযোগে উল্লেক করা হয়েছে মোঃ তাজমিনুর রহমানকে ৭/৭/২৪ তারিখ সকালে একা পেয়ে বিবাদীরে হাতে থাকা লাটি দিয়ে মারতে যায়। এবং ১০/১২ জন ঘের জবর দখল করার জন্য মাটি কেটে পাশে থাকা সাত্তারের ঘেরের সাথে মিলাইয়া দেয়। ভুক্তভোগী বাধা দিতে গেলে মামুন অর রশিদ খসরু ,ইকবাল ও শরিফুল ইসলাম মোঃ তাজমিনুর ধরে ব্যাপক ভয়ভীতি দেখায়। এরপর ওই মাছের ঘেরে নাশকতা করে জোরপ‚র্বক নিজেদের ইচ্ছেমতো লক্ষাধিক টাকার চিংড়ি ও সাদা মাছ লুট নেন। এমনকি তাকে তার ঘেরের আশেপাশে যেতে দিচ্ছে না তারা। এমতাবস্থায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে তাজমিনুর রহমান। তাজমিনুর রহমান বলেন, আমার মাছের ঘের জবরদখলের চেষ্টা করে আসছেন। সর্বক্ষণ তারা ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। আমার মাছের ঘের থেকে ১ লাখ টাকার মাছ লুট করেছে। আমি বাধা দিতে গেলে।আমার উপর আক্রমণ করে। মাছের ঘের নিয়ে আমি এখন অসহায় হয়ে পড়েছি। অভিযুক্ত জমিদাতার ছেলে ইকবাল হোসেন বলেন, আমার পিতা হোসেন আলী গাজী নওয়াপাড়া মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ তাজমিনুর রহমানের কাছে মাছের ঘের লিজ দেন। অভয়নগর উপজেলার ভবদহ কলেজের প্রদর্শক মামুন অর রশিদ খসরু বলেন, জমিদাতার কাছ থেকে ওই ঘের লিজ নিতে চাই। আমাকে ঘের লিজ দেওয়ার জন্য ইকবাল হোসেন বলেছে। তাই আমি মাটি কেটেছি। আমি মোঃ তাজমিনুর রহমানকে ভয়ভীতি দেখাইনি। তার মাছ লুট করিনি। নেহালপুর পুলিশ ক্যাম্পের আইসি এস আই আব্দুল হান্নান জানান, বিষয়টি সমাধান করার জন্য চেষ্ঠা করছি। মনিরামপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ মেহেদী মাসুদ বলেন,এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
রাতদিন সংবাদ/জয়







