আফজাল হোসেন চাঁদ, ঝিকরগাছা : যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার ৪নং গদখালী ইউনিয়নের অন্তগত বোধখানা মহিলা দাখিল মাদ্রাসার বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর পৃথক ভাবে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মোঃ সাইফুর রহমান সাইফ। তিনি বোধখানা মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি, বোধখানা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত শহিদুল ইসলাম (অত্র মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা) এর ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলাধীন বোধখানা মহিলা দাখিল মাদ্রাসায় তিনি সভাপতি থাকাকালীন সময়ে প্রতিষ্ঠানে সুপার পদ শূন্য থাকা অবস্থায় সহকারী সুপার মোঃ জহুরুল হককে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব প্রদান করেন। কিন্তু পরবর্তী কমিটির সভাপতি মশকুর আলম তার প্রতিষ্ঠানে সভাপতির মেয়াদ শেষন্তের ২/৩দিন পূর্বে ভারপ্রাপ্ত সুপার থাকাকালীন সময়ে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে তাকে সরিয়ে সরকারি নিয়মনীতি পালন না করে নিজের ক্ষমতাকে অপব্যবহার করে নিজের পছন্দের ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের সহকারী মৌলভী মোঃ নাজমুল হককে দায়িত্ব প্রদান করেছেন। মশকুর আলম বর্তমানেও অত্র প্রতিষ্ঠানের এডহক কমিটির সভাপতি দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বিগত ০৬ জুন ২০১১ তারিখের সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিম/শাঃ১১/৩-৯/২০১১/২৬৫ নং স্মারকের পরিপত্রের আইন বাহিভূত কাজ করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অপরদিকে থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অত্র প্রতিষ্ঠানের দাতা সদস্য হওয়ার জন্য সে প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত সুপার মোঃ জহিরুল হককে অবহতি করেন সাইফ। এসময় জহুরুল বলেন সদস্য হতে গেলে ব্যাংকের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের এ্যাকাউন্ডে ২০হাজার টাকা প্রদান করে তার রশিদ দিয়ে আবেদন করতে হবে। পরে সাইফ টাকা জমা দিয়ে ভারপ্রাপ্ত সুপারের নিকট জমা দেন। ব্যাংকের ভাউচার জমা দেওয়ার পরে তিনি (ভারপ্রাপ্ত সুপার) টাকা বুঝিয়া পাওয়ার বিষয়ে প্রতিষ্ঠান হতে বাদিকে একটা রশিদ প্রদান করেন। যার নং ৮৪৮। টাকা জমা দেওয়ার প্রায় ১৫দিন পরে ভারপ্রাপ্ত সুপার তাকে মৌখিক ভাবে বলেন একটা আবেদন দিতে। সাইফ আবেদনও দেন । এরপর থেকে বিভিন্ন প্রকার তালবাহানা করতে থাকে। এমনকি হয়রানি করতে থাকেন সাইফকে। সর্বশেষ গত ৭ জুলাই সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি প্রতিষ্ঠানে যেয়ে ভারপ্রাপ্ত সুপার মোঃ জহিরুল হক তাকে সহকারী মৌলভী শিক্ষক মোঃ নাজমুল হকের নিকট পাঠান। সাইফ নাজমুল হকের কাছে গেছে তাকে দেখামাত্র কোন কথাবার্তা বলার সুযোগ না দিয়ে আমার উপর চড়াও হয়ে উচ্চস্বরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ মারপিটের হুমকি দেন।
থানার অফিসার ইনচার্জ বিএম কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আজ অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের উপর তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ণ চন্দ্র পাল বলেন, মাদ্রাসা সংক্রান্ত বিষয়টি মূলত দেখভাল করে মাদ্রাসা অধিদপ্তর। তারপরও যেহেতু আমার নিকট অভিযোগ এসেছে। সেহেতু অভিযোগের উপর তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের বিরুদ্ধে একাধিকবার পূর্বেও সংবাদ প্রকাশ হলেও প্রশাসন কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। অজ্ঞাত কারনে সব অভিযোগ ধামা চাপা পরে যায়। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।







