পাচার হওয়া ৩০ জন বাংলাদেশি নারী-পুরুষ ও শিশুকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত। শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তাদের বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।
ফেরত আসা বাংলাদেশিরা হলেন, নওগাঁর জহির আলীর ছেলে শহিদ (১৪) , সিরাজগঞ্জ জেলার মিলন হকের ছেলে নাইমুল হক (১৪), পিরোজপুরের শাহিন তালুকদারের ছেলে সাব্বির তালুকদার (১২), চট্রগ্রামের মুজিব শেখের ছেলে ইব্রাহীম শেখ, ঠাকুরগাঁওয়ের শুশিল রায়ের ছেলে বিপ্লব রায় (১৪), পাবনার তাহের আলীর মেয়ে মাহফুজা খাতুন (১৫), সাতক্ষীরার বাবুল সরদারের মেয়ে চুমকি খাতুন (১৪), রাজশাহীর আবুল কালমের মেয়ে লাবনী আক্তার (১৬), গোপালগঞ্জের মুজিবর সিকদারের মেয়ে শাপলা সিকদার (১৬), খুলনার অহিদুলের মেয়ে নীলা খাতুন (১৬), চট্রগ্রমের রশিদ হাওলাদারের মেয়ে উম্মে কুলসুম (১৩) ও জুমিনি আক্তার (১৬), খুলনার মুক্তার শেখের মেয়ে সায়রা খাতুন (১৯), জয়পুর হাটের কালু শেখের মেয়ে কাকলী (১৬), মাগুরার ইলিয়াছের মেয়ে আরুফা খাতুন (৩৫), কালামিয়া মুন্সীর মেয়ে দিলারা বেগম (১৯), আব্দুস সালমের মেয়ে জান্নাত আরা (৭) ও রিয়া আক্তার (১৪), সেলিম মিয়ার মেয়ে সাদিয়া আক্তার ( ১৪) ও মিনারা আক্তার (১৮), সালামের মেয়ে রুখসানা আক্তার (৫) একই জেলার সালামের ছেলে সামি (৩), ঢাকার মহি হোসেনের মেয়ে মুক্তা আক্তার ( ১৭), বাগেরহাটের আসলাম খানের মেয়ে তামান্না আক্তার (১৭), দিনাজপুরের হুমায়ুন কবিরের মেয়ে হুমাইরা খাতুন (১২) ও ছেলে আমেদ আলী (১৪), নারানগঞ্জের আলম মিয়ার ছেলে নুর ইসলাম (১৩), খুলনা জেলার রবিন অধিকারীর ছেলে আকাশ অধিকারী (১৩) ও চাপাই নবাবগঞ্জের প্রতাপ ঘোষের ছেলে প্রকাশ ঘোষ।
কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ হাই কমিশনারের মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) বিএম জামাল হোসেন জানান, প্রলোভনে পড়ে এসব নারী, শিশুরা পাচারের শিকার হয়েছিল। তাদের উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ফেরত আসা ৩০ বাংলাদেশিদের মধ্যে ২৪ জনকে বেনাপোল চেকপোস্ট থেকে তাদের পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে। ৬ জনকে পৌছে দেওয়ার জন্য গ্রহন করেছে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজিবী সমিতি।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবীব জানান, ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদেরকে ট্রাভেল পারমিটে হস্তান্তর করেছে। কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে এদেরকে এনজিও সংস্থা গ্রহনণকরেছে। পরবর্তীতে এনজিও সংস্থা তাদের পরিবারে কাছে হস্তান্তর করবে বলে তিনি জানান।বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজিবী সমিতির যশোর শাখার প্রগ্রামার রেখা বিশ্বাস জানান, ফেরত আসা নারী ও শিশুদের পরিবার যদি পাচারকারীদের শনাক্ত করে মামলা করতে চায় তবে আইনি সহযোগীতা করা হবে।
সাইদুর জামান( রাজা)র্শার্শা প্রতিনিধি







