Monday, April 29, 2024

রমজান পরবর্তী জীবন যেমন হবে

- Advertisement -

রমজানে মোটামুটি সবার মাঝেই আমলের প্রবণতা দেখা যায়। মসজিদগুলো ভরে উঠে মুসল্লিতে। তবে রমজান শেষেই দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। আবার আগের মতো খাম-খেয়ালিপনায় ডুবে যান সবাই। নফল-সুন্নত দূরে থাক ফরজ ইবাদতেও গুরুত্ব দেন না অনেকে।

রমজান পরবর্তী সময়ে নিজের জীবনকে আমল-ইবাদত ও আল্লাহর বিধানমতো পরিচালনা করতে আমলের একটি পরিকল্পনা সাজানো যেতে পারে। এতে করে পুরো বছর পরিকল্পনা মাফিক কাটানো যাবে।

ফরজ নামাজ ঠিকমতো জামাতে আদায়

রমজানের পরেও ফরজ নামাজ জামাতে আদায়ে গুরুত্ব দিতে হবে এবং প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে। কারণ, নামাজ না পড়া এবং জামাতে গুরুত্ব না দেওয়ার বিষয়ে হাদিসে বিভিন্ন শাস্তির হুঁশিয়ারি ঘোষণা করা হয়েছে।

রোজা রাখার ধারা বজায় রাখা

রমজানের রোজা শেষ হলেও অবশিষ্ট মাসগুলোতে বহু নফল রোজা রয়েছে। সামর্থ্য অনুযায়ী সেসব রোজা রাখার চেষ্টা করা। যেমন—

শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-

مَنْ صَامَ رَمَضَانَ ثُمّ أَتْبَعَهُ سِتّا مِنْ شَوّالٍ، كَانَ كَصِيَامِ الدّهْرِ

যে ব্যক্তি রমজান মাসের রোজা রাখল। অতপর শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা রাখল, সে যেন সারা বছর রোজা রাখল। (মুসলিম, হাদিস : ১১৬৪)

প্রতি চান্দ্রমাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তিন দিনের রোজা (আইয়ামে বিজের রোজা)

নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-

ثَلَاثٌ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ، وَرَمَضَانُ إِلَى رَمَضَانَ، فَهَذَا صِيَامُ الدّهْرِ كُلِّهِ

প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখা এবং রমজান মাসের রোজা সারা বছর রোজা রাখার সমতুল্য। (মুসলিম, হাদিস ১১৬২)

অন্য বর্ণনায় আছে, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-

صَوْمُ ثَلَاثَةِ أَيّامٍ مِنَ الشّهْرِ، صَوْمُ الشّهْرِ كُلِّهِ

মাসে তিন দিন রোজা রাখা পুরো মাস রোজা রাখার সমান। (মুসলিম, হাদিস ১১৫৯)

এছাড়াও প্রতি সোম-বৃহস্পতিবার, আশুরাসহ অন্যান্য নফল রোজা রাখার চেষ্টা করা উচিত।

নফল নামাজের ধারা বজায় রাখা

রমজানের দীর্ঘ তারাবির নামাজ শেষ হয়েছে। তারাবির মাধ্যমে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকে একসাথে অনেক রাকাত নামাজ আদায় করার একটা ভালো অভ্যাস সৃষ্টি হয়েছে। এই অভ্যাস পুরো বছরই রক্ষা করা উচিত।

এছাড়াও রাতে তাহাজ্জুদ, সকালে ইশরাক, চাশত, সন্ধ্যায় আওয়াবিন, অজুর পর  তাহিয়্যাতুল অজু, মসজিদে প্রবেশের পর দুখুলুল মসজিদ পড়ার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

নিয়মিত জিকির ও দোয়া পড়া

হাদিস শরিফে বর্ণিত বিভিন্ন সময় ও মুহূর্তে পঠিতব্য দোয়া ও জিকির, নামাজের পরে ও সকাল-সন্ধ্যার ফজিলতপূর্ণ তাসবীহ ও জিকিরসমূহ নিয়মিত পাঠ করা।

দান-সদকা করা

রমজানে যাকাত, সাদাকাতুল ফিতর এবং অন্যান্য দান-সদকার আমল শেষ হলেও সারা বছর এ আমলের দ্বার উন্মুক্ত। যাকাত ও সাধারণ দান-সদকা রমজানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। গোটা বছরই এর সময় এবং তা সবসময়ই ফজিলতপূর্ণ আমল। অতএব সামর্থ্য অনুযায়ী সারা বছরই দান-সদকার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখা উচিত।

কোরআন তিলাওয়াত করা

কোরআনে কারিমের তিলাওয়াত অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ও মর্যাদাসম্বলিত একটি আমল। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন—

যে ব্যক্তি কোরআনের একটি হরফ পাঠ করল, তার বিনিময়ে সে একটি নেকি লাভ করল। উক্ত একটি নেকি দশটি নেকীর সমতুল্য গণ্য করা হবে। আমি বলছি না যে, ‘আলিফ-লাম-মিম’ একটি হরফ। বরং ‘আলিফ’ একটি হরফ, ‘লাম’ একটি হরফ এবং ‘মীম’ একটি হরফ।  (জামে তিরমিজি, হাদিস, ২৯১০)

অনলাইন ডেস্ক

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত