Tuesday, May 7, 2024

যশোরে ঈদের সকালে মসজিদে মারামারি করে ৩ জন আটক

- Advertisement -

যশোরের বাঘারপাড়ায় ঈদের সকালে ঈদগাহের কমিটি গঠন নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৩ থেকে ১৪ জন আহত হন। উপজেলার দোহকুলা ইউনিয়নের মামুদালীপুর গ্রামের ঈদগাহ মাঠেই এই মারামারি ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে পুলিশ ৩জনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় গ্রামটি ধরপাকড় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

আহতদের মধ্যে যশোর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে মামুদালীপুর গ্রামের ইলিয়াস (২৯), রেজাউল (৫৮), মশিয়ার (৫২),সবুজ হোসেন (৩২),কুবাদ মন্ডল (৪০),মশিয়ার (৫০)।

মামুদালীপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রত্যক্ষদর্শী আলী রাজ, ইমরান হোসেন ও আমিনুর রহমান জানান, শুক্রবার ঈদগাহের কমিটি গঠনে একটি সভা হয়। সভায় ইঞ্জিনিয়র জামালউদ্দিন বিশ্বাসকে সভাপতি,সোহরাব মন্ডলকে সাধারণ সম্পাদক ও নিয়ামত বিশ্বাসকে কোষাধ্যক্ষ করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। সে সময় দুপক্ষের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। যার একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দেন ইউপি সদস্য জসিম বিশ্বাস ও জাহাঙ্গীর হোসেন। অন্যটিতে ইউনুস হোসেন। কমিটি গঠনের শেষ পর্যায়ে এসে জসিম গ্রুপের লোকজন হেকমত আলীর নাম প্রস্তাব করেন। কিন্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ লোকের মতামত না থাকায় সে প্রস্তাব পাশ হয় না। পরে এ কমিটি মানিনা বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন একটি পক্ষ।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে-এদিন ঈদের নামাজ শুরুর আগেই জসিম গ্রুপ ঘোষণা দেন ‘আগে কমিটি, পরে নামাজ’। এ নিয়ে বাগবিতন্ডা শুরু হলে পরে সংঘর্ষে বেঁধে যায়।

ইউনুস আলী নামে এক ব্যক্তি জানান, সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে আমরা একটি কমিটি করেছিলাম। কিন্তু ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৮টায় জসিম ও জাহাঙ্গীর প্রস্তাব করেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হেকমত আলীকে সভাপতি ঘোষণা করে ঈদের নামাজ হবে। এতে সায় না দিলে মারামারি শুরু হয়। তিনি আরও বলেন, আগে থেকে ঈদগাহে প্রস্তত রাখা লাঠিসোঠা দিয়ে বেধড়ক মারপিঠ শুরু করে ওরা। এতে আনেকের মাথা, মুখ ও হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান রক্তাক্ত হয়েছে।

বাঘারপাড়া হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক অর্ণব বকসী জানান,আহতদের মধ্যে মাথায় সেলাই থাকায় ইলিয়াস ও রেজাউলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে আহতদের কেউ গুরুতর নয়’।

বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন বলেন,’মারামারির ঘটনায় ইউপি সদস্য জসিম বিশ্বাস ও তার ছেলে মোহাসিন এবং জাহাঙ্গীর হোসেনকে আটক করা হয়েছে। দুই পক্ষ বিষয়টি মিমাংশায় সম্মত হয়েছেন। মিমাংশা না হলে এবং কেউ যদি থানায় অভিযোগ না দেয়, তাহলে আটককৃতদের ছেড়ে দেয়া হবে।

-বিশেষ প্রতিনিধি

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত