Wednesday, May 8, 2024

যশোরের বাঘারপাড়ায় ঈদগাহের কমিটি গঠন নিয়ে  ঈদের নামাজের আগেই সংঘর্ষ আহত ৬ আটক ৩

- Advertisement -

বাঘারপাড়া প্রতিনিধি : যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার দোহাকুলা ইউনিয়নের মামুদালীপুর গ্রামে ঈদগাহের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ৬ জন আহত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে (ঈদের দিন ) উক্ত গ্রামের ঈদগাহ মাঠেই এঘটনা ঘটে।  ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছে বাঘারপাড়া থানা পুলিশ।

 বাঘারপাড়ার  মামুদালীপুর গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শী আলী রাজ, ইমরান হোসেন ও আমিনুর রহমান বলেছেন, গত শুক্রবার ঈদগাহের কমিটি গঠনে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ইঞ্জিনিয়র জামালউদ্দিন বিশ্বাসকে সভাপতি, সোহরাব মন্ডলকে সাধারন সম্পাদক ও নিয়ামত বিশ্বাসকে কোষাধ্যক্ষ করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি হয়। সেসময় দুই গ্রুপের সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন। যার একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দেন ইউপি সদস্য জসিম বিশ্বাস ও জাহাঙ্গীর হোসেন। অন্যটিতে আছেন ইউনুস হোসেন। কমিটি গঠনের শেষ পর্যায়ে এসে জসিম গ্রুপের লোকজন হেকমত আলীর নাম প্রস্তাব করেন। কিন্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ লোকের মতামত না থাকায় সে প্রস্তাব পাশ হয় না। পরে এ কমিটি মানিনা বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও বলেন, এদিন ঈদের নামাজ শুরুর আগেই জসিম গ্রুপ ঘোষণা দেন ‘আগে কমিটি পরে নামাজ’। এ নিয়ে বাগবিতন্ডা শুরু হলে পরে সংঘর্ষের রূপ নেয়।

এবিষয়ে ইউনুস হোসেন বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে আমরা একটি কমিটি করেছিলাম। কিন্ত ঈদের দিন সকাল সাড়ে আটটায় জসিম ও জাহাঙ্গীর প্রস্তাব করেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হেকমত আলীকে সভাপতি ঘোষণা করে ঈদের নামাজ হবে। এতে সায় না দিলে মারামারি শুরু হয়। তিনি আরও বলেন, আগে থেকে ঈদগাহে প্রস্তত রাখা লাঠিসোঠা দিয়ে বেধড়ক মারপিঠ শুরু করে ওরা। এতে অনেকের মাথা, মুখ ও হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান রক্তাক্ত হয়েছে। বিষয়টি সমযোতার  চেষ্টা করা হচ্ছে’।

বাঘারপাড়া হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক অর্ণব বকসী জানান,‘মারামারির ঘটনায় মামুদালীপুর গ্রামের ইউনুসের ছেলে ইলিয়াস (২৯), হামিদ মোল্লার ছেলে রেজাউল (৫৮) ও মশিয়ার (৫২), নজরুলের ছেলে সবুজ হোসেন (৩২), মোহাম্মদ মন্ডলের ছেলে কুবাদ মন্ডল (৪০) এবং গোলাম সরোয়রের ছেলে মশিয়ার রহমান (৫০) আহত হয়েছেন। এর মধ্যে মাথায় সেলাই থাকায় ইলিয়াস ও রেজাউলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে আহতদের কেউ গুরুতর নয়’।

বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন বলেন,‘মারামারির ঘটনায় ইউপি সদস্য জসিম বিশ্বাস ও তার ছেলে মহাসিন এবং জাহাঙ্গীর হোসেনকে আটক করা হয়েছে। দুই পক্ষ বিষয়টি মিমাংশায় সম্মত হয়েছে। মিমাংশা না হলে এবং কেউ যদি থানায় অভিযোগ না দেয় তবে আটক ব্যাক্তিদের ছেড়ে দেওয়া হবে।

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত