বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী ওএসপি,বিএসপি,এসইউপি,এনডিসি, পিএসসি,যশোরের শার্শা উপজেলা বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
যশোরের শার্শার কাশিপুরে একজন বীরশ্রেষ্ঠ, একজন বীরবিক্রম,একজন বীর প্রতিকের স্মৃতিস্তম্ভসহ সাত সূর্যসন্তানের সমাধিসৌধে সশস্ত্র সালাম,ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা ও ১০০জন দরিদ্র মানুষের মাঝে তিনি খাদ্যসামগ্রী বিতরন করেন।
পরে তিনি সীমান্ত সড়ক ধরে বেনাপোল আইসিপি ক্যাম্পে বিএসএফ এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।
এরপর তিনি বিজিবি কর্তৃক পাসপোট যাত্রি চেকিংয়ের স্ক্যানার মেশিনটা ঘুরে দেখেন।পরে বেনাপোলের পুটখালী সীমান্তের চরের মাঠ ও কোম্পানি সদর পরিদর্শন করেন।
এসময় বিজিবি মহাপরিচালকের সাথে ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম (এডিজি অপস এন্ড ট্রেনিং), ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আনোয়ার হোসেন,(ব্যুরো চিফ) বিএসবি,ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামিম আহমেদ,খুলনা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোঃ রেজাউল কবির,লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম,পিএস টু ডিজি বিজিবি,লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মাসুদ পারভেজ রানা,পরিচালক (পরিকল্পনা), সদর দপ্তর বিজিবি,ক্যাপ্টেন মাজেদুল আলম পৃথু, এডিসি টু ডিজি বিজিবি আরও ছিলেন যশোর রিজিয়ন,সেক্টর, ব্যাটালিয়ানের কর্মকর্তা বৃন্দ।
যশোরের কাশিপুর অঞ্চলটি ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেষা হওয়ায় তখন ‘মুক্ত এলাকা’ হিসেবে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ মুক্তিযুদ্ধাদেরকে এখানে সমাহিত করা হয়।
বাংলাদেশের গোবিনাথপুর আর কাশিপুর মৌজার সীমানার কাশিপুর পুকুর পাড়ে চিরতরে ঘুমিয়ে আছেন শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ,শহীদ সিপাহী আব্দুস ছাত্তার বীরবিক্রম (প্রাক্তন ইপিআর), শহীদ সিপাহী এনামুল হক বীরপ্রতিক (প্রাক্তন ইপিআর),শহীদ সৈয়দ আতর আলী (তদানিন্তন গণপরিষদ সদস্য), শহীদ সুবেদার মনিরুজ্জামান (প্রাক্তন ইপিআর),শহীদ বাহাদুর আলী এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আহাদ(এই মুক্তিযুদ্ধা স্বাধীনতার পরে সন্ত্রাশীদের হাতে নিহত হন)।
-রাতদিন সংবাদ