যশোরের ধর্মতলা কাঁচা বাজারে হামলা অব্যহত রেখেছে সন্ত্রসী বিল্লাল হোসেন ও তার লোকজন। তাদের বিরুদ্ধে গত ২৫ মার্চ করা হত্যা চেষ্টার মামলা তুলে না নিলে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিচ্ছে। বুধবার প্রেসক্লাব যশোরের শহিদ সাংবাদিক সামছুর রহমান কেবল অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তোভীরা।
এর আগে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে ধর্মতলা এলাকাবাসী আসামীদের আটকের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাসুদুর রহমান টিটো বলেন, ২২ মার্চ সন্ধ্যায় ধর্মতলা কাঁচা বাজারের সামনে অপরিচিত এক ব্যক্তিকে মারপিট করছিল বিল্লাল ও তার লোকজন। আমি কাঁচা বাজার কমিটি সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় ওই ব্যক্তিকে মারতে নিষেধ করি তাদের। এ সময় বিল্লাল ও তার লোকজন আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে খুন জখমের হুমকি দিয়া চলে যায়। এরমধ্যে সন্ত্রসী বিল্লালের নেতৃত্বে ১০/১২ জন আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমন করে। আমার ভাই তোতা হামলাকারীদের হাত থেকে আমাকে উদ্ধারে আসলে তারা আমাদের কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা করে। একই সময় হামলকারীরা আমাদের কাছ থেকে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন চুরি ও দোকান ভাংচুর করে লাখ টাকার ক্ষতি করে।
তারা আমার মাথায় কোপ মারলে বাম হাত দিয়া ঠেকাইলে বাম হাতের কনিষ্ঠ আংগুল কেটে যায়। একই সাথে লোহার রড দ্বারা আমার হাতে পায়ে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট করতে থাকে। কাছে ১৫ হাজার টাকার ফোন ও নগদ ২০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। ঘটনাস্থলে থাকা আমার আপন ভাই আক্তারুজ্জামান তোতা (৫২) ঠেকতে আসিলে আসামীরা গাছি দা দিয়ে আমার ভাই তোতাকে কোপ মেরে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। ভাইয়ের কাছে থাকা নগদ ১২ হাজার ৫শ’ টাকা কেড়ে নেন। একই সাথে আসামী আবিদের দোকানের মধ্যে ঢুকে দোকান ভাংচুর করে এক লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় বিল্লাল, বাবু, সাগর, রনি, মেছো সুমন, সুমন হোসেন, ডাবল, নেপু সোহাদ, পটলা সুজন সহ অপরিচিত ১০/১২জনকে আসামি করে থানায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা করা হয়। এ মামলা দায়েরের পর আসামিরা আরও বেপরোয় হয়ে উঠেছে। প্রতিনিয়ত বাজারে হামলা চালাচ্ছে। মামলা তুলে না নিলে খুন করা হবে বলে হুমকি দিচ্চে। এ অবস্থায় তিনি আসামিদের অবিলম্বে আটক করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে, লিটন গাজী, গাজী আক্তারুজ্জামান তোতা, আবিদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
রাতদিন সংবাদ