যশোরে বিএনপি নেতা মুল্লুক চাঁদের চালের আড়তে প্রকৌশলীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মোস্তাফিজুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ পুলিশ।আটক মোস্তাফিজুর মণিরামপুর উপজেলার আগরহাটি গ্রামের নূরুল হক দফাদারের ছেলে। কোতয়ালি থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি নিশ্চিত করেন। রাত নয়টার পর তাকে যশোর কোতোয়ালি থানায় এনে বিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে আটক মোস্তাফিজুর রহমান প্রকৌশলী বায়েজিদকে খুলনা থেকে তুলে আনতে যারা গিয়েছিলেন তাদের একজন। তারই প্রেক্ষিতে তাকে আটক করা হয়েছে। একই সাথে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ও পলাতক আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, সোমবার রাত ৩টার দিকে বিএনপি নেতা ও চাউল ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চাঁদের চালের আড়ত থেকে খুলনার প্রকৌশলী বায়োজিদের লাশ উদ্ধার করা হয়। বায়োজিদ মুল্লুক চাঁদের ঢাকার বসুন্ধরা এলাকার একটি নির্মাণাধীন বাড়ির সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে চাকরিচ্যুৎ করা হয়। পরে সে খুলনার নিজ বাড়িতে চলে আসেন। এরপর টাকার জন্য খুলনা থেকে যশোরে ডেকে মুল্লুক চাঁদের আড়তে এনে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় বায়োজিদের মা দিলরুবা কোতয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। আসামি করা হয়, বিএনপির নগর শাখার আহবায়ক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চাঁদ , মুল্লুক চাঁদের ভাই রকিবুল ইসলাম সঞ্জয় চৌধুরী, শহরের গাড়িখানা রোডের শহিদুল ইসলাম, রাজু, রাজন, শাহ আলম এবং লোন অফিসপাড়ার সাদেক মোল্লার ছেলে জসিম মোল্লাসহ আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে শহিদুল আরেক প্রেকৌশলী ও বাকিরা সকলেই মুল্লুক চাঁদের কর্মচারী। এছাড়া এ মামলার অন্য আসামিরা পালিয়েছে।
বিশেষ প্রতিনিধি