সামাজিক সচেতন সংস্থা সাসস এর উদ্যগে,পবিত্র রমজান উপলক্ষে ৬৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করছে ।যশোরসহ সারাদেশে গরুর মাংসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ার কারণে সাধারণ মানুষের ওপর যখন এক বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছে তখন এ চাপ খানিকটা কমানোর জন্য যশোরের সামাজিক সচেতন সংস্থা সাসস এমন একটি উদ্যোগ নিয়েছে। কম দানম মাংস কিনতে পেরে সাধারন ভোক্তারাও খুশি।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ ) সকাল ১০টা থেকে যশোর জেলা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি) কার্যালয়ের সামনে, সুলভ মূল্যে এ গরুর মাংস বিক্রির কার্যক্রম শুরু করেছেন এ সামাজিক সংগঠনটি। যশোরে ডিবি কার্যালয়ের দ্বিতীয় গেটে গিয়ে দেখা যায়, ৬৫০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। অন্যদিকে বাজারে ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস।
এখানে কেজিতে ১০০ টাকা দাম কম হওয়ায় ক্রেতারাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে পরিবারের জন্য মাংস ক্রয় করছেন। আগের তুলনায় কেজিতে ১০০ টাকা কম দামে গরুর মাংস কিনতে পেরে খুশি ভোক্তারা। সাধারন ভোক্তারা ভবিষ্যতেও এই দাম বহাল রাখার দাবি করেন। একজন সর্বনিম্ন আড়াইশ গ্রাম থেকে সর্বোচ্চ ২ কেজি মাংস এখান থেকে নিতে পারছেন। এ ছাড়াও রমজান উপলক্ষে সামাজিক সচেতন সংস্থার উদ্যেগে প্রতিদিন সুলভ মূল্যে ডিম, লেবু, ডাব, বেগুন, শসাসহ বিভিন্ন সবজি কম দামে বিক্রয় করা হচ্ছে।
মাংস কিনতে আসা একজন বলেন, বাজারে কেউ কিছু বলে না। এর আগে আমরা তো ৫০০ টাকায়ও গরুর মাংস খেয়েছি। এখানে বাজার থেকে ১০০ টাকা কম দামে কিনতে পেরে ভালো লাগছে। আমাদের যে বেতন তা দিয়ে গরুর মাংসের কথা চিন্তাও করতে পারি না।
অপর ক্রেতা ইজিবাইকের চালক বলেন, রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখলাম কম দামে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে তাই ১ কেজি কিনলাম। দেখে খুব ভালো লাগছে যে, গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্য জায়গায় কিনতে গেলে ৭৫০ টাকা লাগতো।
তিনি আরও বলেন, এমন উদ্যোগে আমরা খুবই খুশি হয়েছি। বাজারের যে ঊর্ধ্বগতি তাতে গরুর মাংস কিনে খাওয়া আমাদের জন্য কঠিন হয়ে গেছে। এখানে আমরা মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্ত সবাই মাংস কিনতে পারছি।
এ বিষয়ে যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও সাসস এর প্রতিষ্ঠাতা মফিজুল ইসলাম বলেন, জেলা গোয়েন্দা শাখার ২ নম্বর গেটে রমজানের শুরু থেকে সাসস যশোর শাখার উদ্দ্যোগে একটি সুলভ মূল্যে বিক্রয়ের জন্য স্টল দিয়েছে। এতদিন ডিম-ডাবসহ কিছু জিনিস যেগুলো বাজারে বেশি দামে বিক্রি হয়, এই জিনিসগুলো এ সংগঠনটি সুলভ মূল্যে বিক্রি করেছে। আজকে তারা বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ও মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য গরুর মাংসও কম মূল্যে বিক্রি করছে।
এবিষয়ে সচেতন মহল বলছেন ব্যবসায়ীদের সিন্টিগেট ভাঙতে এটা খুবই মহৎ উদ্যোগ।বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন যদি এভাবে এগিয়ে আসে তবে সাধারন মানুষ সবকিছু কিনে খেতে পারবে।
রাতদিন-সংবাদ:-