ঢাকা, ১৬ নভেম্বর ২০২৩ – বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাত ১২টা থেকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এটি শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়টি দেশের ১১টি উপকূলীয় অঞ্চলের ১১টি জেলায় আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে। জেলাগুলো হলো- বরগুনা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, সাতক্ষীরা, খুলনা চট্টগ্রাম ও বাগেরহাট।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে ঝোড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়াও, উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪-৮৮ মিমি) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিমি বা তার বেশি) বর্ষণ হতে পারে।
অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।
গত ২৪ অক্টোবর দিবাগত রাতে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানে। এতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলে প্রাণহানি এবং বসতবাড়ি ও ফসলও নষ্ট হয়।
উপকূলীয় এলাকায় নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার নির্দেশ
ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে এক জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উপকূলীয় এলাকায় নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, উপকূলীয় এলাকার মানুষকে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে সচেতন করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হতে পারে। এছাড়াও, উপকূলীয় এলাকায় বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে।
উপকূলীয় এলাকায় নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও ত্রাণসামগ্রী মজুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।