গাজীপুরে পোশাকশ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর দাবিতে চলমান আন্দোলনের সপ্তম দিনে সোমবার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বাসন সড়ক এলাকায় পুলিশের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। নিহত শ্রমিকের নাম রাসেল হাওলাদার (২২)। তিনি ঝালকাঠি সদর উপজেলার হান্নান হাওলাদারের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি পোশাক তৈরি কারখানার শ্রমিক ছিলেন।
গত সোমবার কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক ও তেলিরচালা এলাকায় বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকেরা কর্মবিরতি শুরু করেন এবং মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এরপর থেকে একই দাবিতে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় কারখানার শ্রমিকেরা এ আন্দোলনে একমত পোষণ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী, কাশিমপুর, নাওজোড়, ভোগড়া, বাসন সড়ক, মালেকের বাড়ি, রওশন সড়ক ও চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায়।
সোমবার সকালে গাজীপুর মহানগরীর নাওজোড়, নলজানী ও মালেকের বাড়ি এলাকা থেকে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ শুরু করেন। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নাওজোড়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের একদিকে মালেকের বাড়ি, অন্যদিকে নলজানী এলাকা থেকে বিক্ষোভ নিয়ে শ্রমিকেরা চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় শ্রমিকেরা বাসন সড়ক এলাকায় ১৫-১৬টি যানবাহন ভাঙচুর করেন। এ সময় পুলিশের সাইরেন লাগানো একটি জিপেও তারা আগুন লাগিয়ে দেন। পরে পুলিশ এসে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে এলে বেলা পৌনে একটার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে থেমে থেমে গাড়ি চলতে শুরু করে।
পুলিশের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার সময় কয়েকজন শ্রমিক আহত হন। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে গাজীপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে রাসেল মিয়া মারা যান।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ-২–এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, পোশাকশ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ করতে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি আহত শ্রমিকদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান।