যশোর শহরের শংকরপুর আশ্রম রোডে বোমা হামলা ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে যুবলীগ নেতা কামাল হোসেন তুহিনসহ তিনজন জখমের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। ছয়জনকে অভিযুক্ত করে বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি করেন যুবলীগ নেতা কামাল হোসেন তুহিনের ভাই দেলোয়ার হোসেন সুহিন । এজাহারে বাদী আরও উল্লেখ করেন, চৌরাস্তা সোনালী ব্যাংকের পেছনের বাসিন্দা সাহেদ উর রহমান রনির নির্দেশ ও পরিকল্পনায় এ হত্যা চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে।
মামলার আসামিরা হলেন, বেজপাড়া কবরস্থান এলাকার সবুজ, শংকরপুর হারান কলোনির মাহফুজ, তাজু, শংকরপুর আশ্রম রোডের ইসহাক, সাজ্জাদ ওরফে সাজু ও ষষ্ঠীতলার মনিরুল। তবে, মামলায় সাহেদ উর রহমান রনিকে আসামি করা হয়নি।
মামলায় দেলোয়ার হোসেন সুহিন উল্লেখ করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বুধবার বিকেল ৩টার দিকে আসামি সাহেদ উর রহমান রনি’র নেতৃত্বে অন্য আসামিরা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন। পথে শংকরপুর আশ্রম রোডের বাইতুন মামুর জামে মসজিদের সামনে পৌঁছালে মিজান নামে স্থানীয় এক যুবক আসামি মাহাফুজের সাথে থাকা সিডুকে ডাক দেন।
তখন মাহফুজ এসে মিজানকে কিলঘুষি মারেন। পরে কামাল হোসেন তুহিনের কাছে গিয়ে বিচার দেন মিজান। পরবর্তীতে সন্ধ্যা ৭টার দিকে কামাল হোসেন তুহিন ও স্থানীয় সাহেদ উর রহমান রনি’র মধ্যস্থতায় স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা হয়ে যায়।
এ ঘটনার পর রাত সোয়া ৮টার দিকে আসামি সবুজ, মাহফুজ, তাজু, ইসহাক, সাজু ও মনিরুলসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জন শংকরপুর আশ্রম রোডে দেলোয়ার হোসেন সুহিনের দোকানে সামনে এসে কামাল হোসেন তুহিনের ওপর হামলা চালান। তারা কামাল হোসেন তুহিনকে লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা নিক্ষেপ করলে সরে যাওয়ায় তিনি প্রাণে রক্ষা পান। তবে সেখানে থাকা কামাল নামে একজন ট্রাকচালক কামাল বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হন। বিপদ বুঝতে পেরে কামাল হোসেন তুহিন পালানোর চেষ্টা করলে আসামিরা তার পিছু ধাওয়া করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করেন।
এ সময় কামাল হোসেন তুহিনের ছেলে রোহান পিতাকে রক্ষা করতে গেলে আসামিরা তাকেও কুপিয়ে জখম করেন। এরপর দেলোয়ার হোসেন সুহিন ভাইকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তাকেও কুপিয়ে জখম করা হয়।
এরই মধ্যে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যান।
রাতদিন সংবাদ