যশোর সদরের রূপদিয়ায় ভাড়া করা দোকানের অগ্রিম জমা দেয়া টাকা ফেরৎ চাওয়ায় দুই ভাইকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করার অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। নরেন্দ্রপুর গ্রামের খন্দকার হাজী আব্দুস সাত্তারের ছেলে মাসুদুর রহমান ছয়জনসহ অজ্ঞাত আরো ২/৩ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেছেন।
আসামিরা হলেন, জিরাট গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে গোলাম হোসেন, গোলামের ম্যানেজার একই এলাকার লুৎফর রহমানের ছেলে সুমন হোসেন, নূর আলীর ছেলে সোহেল রানা, কটা মনিরেরর ছেলে শহিদুল ইসলাম, ইমন ব্রিক্সের ম্যানেজার মাসুদ ও চাউলিয়া গ্রামের মুন্না।
বাদী মাসুদুর রহমান মামলায় উল্লেখ করেন, গোলাম হোসেনের রূপদিয়া বাজারে শাওন প্লাজা নামে একটি মার্কেট রয়েছে। ওই মার্কেটে বাদীর ভাই মাহমুদুর রহমান আড়াই লাখ টাকা অগ্রিম জমা দিয়ে একটি দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করছিলেন। কিন্তু তার ব্যবসা ভালো না দেড় বছর আগে দোকান ঘরটি
ছেড়ে দিয়ে মার্কেটের মালিক গোলাম হোসেনের কাছে অগ্রিম জমা দেয়া আড়াই লাখ টাকা ফেরৎ চান মাহমুদুর রহমান। ওই সময় গোলাম হোসেন ভাড়াটিয়া মাহমুদুর রহমানকে ইসলামী ব্যাংক রূপদিয়া শাখার ৪০ হাজার টাকার একটি চেক দেন। চেকটি একাউন্টে জমা দেয়ার পরে ডিজ অনার হয়। ফলে ২০ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাদী মাসুদুর রহমান ও তার ভাই মাহমুদুর রহমান ওই মার্কেটের অফিস কক্ষে যান। এসময় গোলাম হোসেনের সাথে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। এরপর তারা দুই ভাই ওই অফিস থেকে নেমে এসে দোকানে ব্যবসা করেন। কিছুক্ষণ পরে আসামি সুমন হোসেন ওই অফিস থেকে নেমে বাদী মাসুদুর রহমানের কাছে জানতে চান তারা কখন বাড়িতে যাবে। বাদী বলেছে রাত ১০টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যাবে। ওই সময় বাড়িতে যাওয়ার পথে রাত সাড়ে ১০টার দিকে জিরাট গ্রামের আরসিসি রাস্তার ঢালু যায়গায় গেলে তাদের দুই ভাইয়ের পথরোধ করে সকল আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। এসময় বাদী মাসুদুর রহমানের পকেটে থাকা ব্যবসায়ীক এক লাখ ১৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এরপর স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তিনি কিছুটা সুস্থ্য হয়ে কোতোয়ালি থানায় এ মামলা করেন।
বিশেষ প্রতিনিধি