Sunday, May 19, 2024

১৯ বছর পর হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রীসহ ৫ জনের যাবজ্জীবন

- Advertisement -

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় নুরুন্নবী হত্যা মামলার ১৯ বছর পর স্বামী-স্ত্রীসহ পাঁচ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (৫ মে) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (প্রথম) আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর আসামিদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো ক্ষেতলাল উপজেলার বড়াইল শেখপাড়া গ্রামের মরিয়ম বেগম, তার স্বামী শাহাদুল ইসলাম, শাহাদুলের বাবা আব্দুর রাজ্জাক, একই গ্রামের মৃত রইচ উদ্দীনের ছেলে মোজাহার আলী এবং মৃত শামসুদ্দীনের ছেলে রেজাউল ইসলাম।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, শেখপাড়া গ্রামের আলতাব মন্ডলের ছেলে নুরুন্নবী ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর দুপুর ২টার দিকে বাড়ি থেকে বের হন। পরে শ্বশুরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে খুঁজেও সন্ধান পাওয়া যায়নি। ২০ নভেম্বর উপজেলার দক্ষিণ হাটশহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের পুরাতন একটি কবরে মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ। ছেলের পরনের কাপড় দেখে শনাক্ত করেন বাবা। এ ঘটনায় নুরুন্নবীর বাবা অজ্ঞাতদের আসামি করে ক্ষেতলাল থানায় হত্যা মামলা করেন। থানা পুলিশের পর তদন্তে নামে ডিবি। তদন্ত করে ২০০৭ সালের ৩০ জুন হত্যাকাণ্ডে জড়িত পাঁচ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন ডিবির পরিদর্শক আসাদুজ্জামান।

অভিযোগপত্রের বরাতে আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন,খালাতো বোনকে বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন নুরুন্নবী। এরই মধ্যে মরিয়মের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়ান। বিষয়টি  জানাজানি হলে মরিয়ম, তার স্বামী ও শ্বশুর এবং দুই প্রতিবেশীকে নিয়ে নুরুন্নবীকে হত্যা করে পুরাতন একটি কবরে রেখে আসে। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তাদের পাঁচ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রাতদিন-সংবাদ:-

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত